জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
বাঁকুড়ার পুলিস সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ইন্দপুরে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তারসঙ্গে চামড়া উঠে গিয়েছে। ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত ঘটনার কিনারা হয়ে যাবে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দপুরের ডাঙারামপুরে রাজকিশোরের একটি গ্যারেজ রয়েছে। তাঁর বাড়ি জিওড়দা গ্রামে। তাঁর স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে। ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। রাজকিশোর অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু, পরে আর বাড়ি ফেরেননি। বিকেলের দিকে তাঁর দেহ উদ্ধারের খবর পান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে পুলিস আসে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। পুলিস কুকুর এনে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের ধরার দাবিতে তাঁরা সরব হন। পুলিসকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ চলে। তার জেরে পুলিস দেহ উদ্ধার করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে রাতেই বাঁকুড়া থেকে পুলিস কুকুর আনা হয়। সেই পুলিস কুকুর দিয়ে তদন্ত করা হয়। কিন্তু, সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। পুলিসের অনুমান, বৃষ্টি হওয়ায় প্রমাণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্নিফার ডগ দিয়ে তল্লাশি চালানোর পরেও কিছু না মেলায় পুলিস বাসিন্দাদের বুঝিয়ে মাঝ রাতে গ্রাম থেকে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে বুধবার ইন্দপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। পরিবারের তরফে চার সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই তাকিায় রয়েছে মৃতের এক বন্ধুর নামও। পরিবারের লোকজনের অনুমান, টাকা পয়সা সংক্রান্ত কোনও কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে তাঁরা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, বুধবার বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
মৃতের খুড়তুতো ভাই অসীম সিংহ বলেন, ওইদিন সকালে দাদা বাজার করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। বিকেলে ওর দেহ উদ্ধার হয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতচিহ্ন ছিল। গরম জল লেগে দেহের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গিয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। সন্দেহ হওয়ায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা চাই, পুলিস দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।