জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
এডিআই পলাশ রায় বলেন, পুলিসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিস পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মাড়োখানা হাইস্কুল খানাকুলের অন্যতম নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানে ১৫০৩ জন পড়ুয়া পড়াশোনা করে। নামী এই স্কুলে গত পাঁচ মাস ধরে দুষ্কৃতীদের উৎপাত শুরু হয়েছে। মাসখানেক আগে স্কুলের ভিতর থেকে দু’টি সাইকেল চুরি হয়ে যায়। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের রাতে স্কুল চত্বরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছিল। অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর আবেদন জানান। সেইমতো স্কুলে ১৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়। গত শনিবারই স্কুলের ভিতরে তিনটি ও বাইরে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়। গত সোমবার স্কুল খোলার পর ভবনচত্বরে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। মঙ্গলবার রাতে আবার অষ্টম ও দশমের শ্রেণিকক্ষের চারটি করে মোট আটটি ফ্যান ভাঙা হয়। সেইসঙ্গে পানীয় জলের একটি পাইপও ভাঙা হয়েছে। ঘটনার জেরে বুধবার স্কুলের শিক্ষক থেকে পড়ুয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাক্ষী মণ্ডল বলে, পরপর এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। ফ্যান না থাকায় এদিন গরমে ক্লাস করতে খুব অসুবিধা হয়। পাইপ লাইন ভেঙে দেওয়ায় জল না খেয়ে থাকতে হয়েছে। দশম শ্রেণির ছাত্রী বৃষ্টি দলুই বলে, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা চাই অবিলম্বে স্কুলের ভাঙা বাউন্ডারি দেওয়াল সারানো হোক। সেইসঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক পুলিস।
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম দিনের ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজে মুখে গামছা ঢাকা দুই দুষ্কৃতীকে স্কুল চত্বরে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। ফের মঙ্গলবার রাতে স্কুলে তাণ্ডব চালানো হয়। পরপর দু’টি ঘটনায় স্কুলের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের টিচার ইনচার্জ দেবাশিস বেজ বলেন, এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। মাসখানেক আগে স্কুল থেকে দু’টি সাইকেল চুরি গিয়েছিল। রাতে স্কুল চত্বরে কিছু ব্যক্তির আনাগোনার খবর পাচ্ছিলাম। স্কুলের সীমানা দেওয়ালের ভাঙা অংশ দিয়ে দুষ্কৃতীরা ঢুকেছিল। গত শনিবার স্কুলের ভিতর ও বাইরে আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। সোমবার স্কুল খুললে দেখা যায় স্কুল চত্বরের বাইরে লাগানো চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। এদিন স্কুলে এসে দেখি দু’টি শ্রেণিকক্ষের আটটি ফ্যান ভাঙা হয়েছে। পানীয় জলের পাইপও ভেঙে দিয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের ভিতরে ঢুকে এই ধরনের কাজ কারা করছে, তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। পুলিস বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক।