জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, লাইসেন্স থাকা দোকান থেকেই শুধু ট্যাক্স সংগ্রহ করা হয়। অস্থায়ী দোকান থেকে কোনও লেভি নেওয়া হয় না। আমরা শীঘ্রই প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামব।
বহরমপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব মোড়ের প্রায় একই ছবি। খাগড়ার নতুন বাজার থেকে মোহন মোড়, ইন্দ্রপ্রস্থ, কান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে গোড়া বাজার, মোহনা বাসস্ট্যান্ড, গির্জা মোড়, রানিবাগান সর্বত্র ছবিটা এক রকম। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। দু’তিন দিনের মধ্যেই এবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসন প্রস্তুতি শুরু করছে। বহরমপুরের পুলিস লাইনের সামনের রাস্তার ধারের দুই অস্থায়ী দোকানদার বলেন, আমাদের কোনও ট্রেড লাইসেন্স নেই। অথচ প্রতিদিন একটা করে স্লিপ কেটে দিয়ে ১০ টাকা করে নিয়ে যান পুরসভার কর্মীরা। যে বিলটি দেওয়া হয়, তাতে বহরমপুর পুরসভার সিল এবং স্ট্যাম্প থাকে। এমনকী চেয়ারম্যানের সই থাকে।
পুরসভার বিরোধী দলের নেতা তথা কংগ্রেসের কাউন্সিলার হীরু হালদার বলেন, আমাদের হাত থেকে বোর্ড চলে যাওয়ার পর এই শহরে যেখান সেখানে দোকান ও গুমটি তৈরি করা হচ্ছে। রাস্তার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা পরিষ্কার করা হোক। মুখ্যমন্ত্রী যখন বলেছেন, এবার তো জবরদখল মুক্ত হবে। তবে অবাঞ্ছিত যে জায়গা পড়ে আছে, কাজে লাগে না, সেই জায়গা থেকে যেন দোকানদারদের উচ্ছেদ না করা হয়। পুরসভা হলুদ স্লিপ কেটে টাকা নেয়। যাদের ট্রেড লাইসেন্স আছে, তাদের কাছ থেকে টাকা না নেওয়ার জন্য আমরা চেয়ারম্যানকে আগেই বলেছিলাম। তবে অস্থায়ী দোকান থেকে একসময় টাকা তোলা হচ্ছিল বলে শুনেছিলাম। মানুষকে তখন আমরা বলেছিলাম, যে আপনারা টাকা দেবেন না।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, প্রায় ২০ হাজার অস্থায়ী দোকান জবরদখল করে আছে এই শহরে। তাদের কাছ থেকে কোনও লেভি নেওয়া হয় না। প্রায় ১১ হাজার দোকান আছে, যাদের লাইসেন্স আছে। তাদের কাছ থেকে আমরা ট্যাক্স নিই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জবরদখল সরানোর জন্য পুলিস এবং আমরা একসঙ্গে অভিযানে নামব। প্রথমে মাইকিং করা হবে। তারপরে দোকান না সরালে ভেঙে দেওয়া হবে।