আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
আরামবাগে প্রথম জয়েন্ট ও ডাক্তারি নিট পরীক্ষার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে। মহকুমা গ্ৰন্থগার ভবনের প্রথম তলায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক ও সমতুল পরীক্ষা। পরীক্ষায় তফসিলি জাতির পড়ুয়াদের ৬০ শতাংশ ও তফসিলি উপজাতি পড়ুয়াদের ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। পরিবারের আয় বার্ষিক ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকতে হবে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময়সীমা এক বছর। দু’টি পৃথক মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৪০ জন পড়ুয়া প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। মহকুমা শ্রেণি কল্যাণ বিভাগের আধিকারিক অর্ণব চৌধুরী হাজরা বলেন, এই প্রথম মহকুমা গ্ৰন্থাগারে তফসিলি জাতি ও উপজাতি ছেলেমেয়েদের নিট ও জয়েন্টের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মেরিট লিস্ট অনুযায়ী ৪০ জন পড়ুয়া বিনামূল্যে কোচিং পাবে। এছাড়াও পড়ুয়াদের ৩০০ টাকা করে স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে। এখনও আবেদন করার সময় আছে। আগামী জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ক্লাস শুরু হবে। আরামবাগ মহকুমা গ্ৰন্থাগার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ সৌভিক আদক বলেন, ভবনের প্রথম তলায় কোচিং ক্লাস হবে। পঠনপাঠনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র শ্রেণিকক্ষে রাখা হচ্ছে। আমাদের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মহকুমার তফসিলি জাতি ও উপজাতি পড়ুয়ারা এই উদ্যোগে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নপূরণ করতে পারবেন। আরামবাগে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশচন্দ্র রায় বলেন, স্কুলের তফসিলি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের ব্যয়বহুল কোচিং সেন্টার পড়ার সামর্থ্য ছিল না। ইচ্ছে থাকলেও জয়েন্ট ও নিটের মতো পরীক্ষায় তারা বসতে পারত না। বিনামূল্যে নিট ও জয়েন্টের কোচিং তাদের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে বলেই মনে করছি। গোঘাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তরুণকান্তি কোনার বলেন, আমাদের স্কুলে তফসিলি জাতি উপজাতি সম্প্রদায়ের বহু পড়ুয়া পড়াশোনা করে। বিনামূল্যে জয়েন্ট ও নিটের প্রশিক্ষণ তাদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ নতুন এক দিশার সন্ধান দেবে।