আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সদর শহর সিউড়ির পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সোমবার নবান্নের বৈঠক থেকে তীব্র ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ওইদিন বেশ কিছু পুরসভার নাম উল্লেখ করেন, যাদের পরিচ্ছন্নতা ও সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত খারাপ। সেক্ষেত্রে সিউড়ি পুরসভার নাম তিনি উল্লেখ করেন। কেন এই শহরগুলি এত নোংরা থাকবে, তা উচ্চবিভাগকে দেখতে নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর তিরস্কারের পর সদর শহরের নোংরা জমা নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। পুলিস লাইনের টিউবওয়েলের পাশে জমে রয়েছে আবর্জনা। ফকিরপাড়াতে দীর্ঘদিন থেকে একটি ড্রেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে ড্রেনের নোংরা জল রাস্তার উপরে উঠে গিয়েছে। পুলিস লাইন থেকে এক্সচেঞ্জ অফিসার যাওয়ার রাস্তার মাঝেও আবর্জনা জমে রয়েছে। এছাড়াও প্রশাসন ভবন সংলগ্ন মেন রাস্তার মাঝে ময়লার স্তূপ জমে থাকে প্রায় সবদিনই। আরও দেখা যাচ্ছে, শহরের বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই কোনও ডাস্টবিনের ব্যবস্থা নেই। আলাদা করে ময়লা ফেলার জন্য ভ্যাট নেই। জেলার অন্যান্য শহরগুলিতে যেমন ডাস্টবিন দেওয়া থাকে, তা নেই সদর শহরে। তাই রাস্তার ধারেই কিংবা ওয়ার্ডের মোড়ে মোড়ে নোংরা পড়ে থাকে। শহরের দুই বাসিন্দা শ্যামলী মুখোপাধ্যায়, শেখ মিন্টু বলেন, এসব নিয়ে পুরসভা ভাবতেই চায় না। চেয়ারম্যানের পর চেয়ারম্যান বদল হয়, কিন্তু সিউড়ি শহরের অবস্থা সেই তিমিরেই থেকে যায়। কাউন্সিলারদের ১০ বার বললে তবে ড্রেন পরিষ্কার হয়। রাস্তাঘাট খানাখন্দে ভরা, ধুলোয় ভর্তি চারিদিক। রাস্তায় কোনও শৌচাগার নেই। এছাড়াও সৌন্দর্যায়নের দিক থেকেও এই শহর অনেকটাই পিছিয়ে। এই সব বিষয় মুখ্যমন্ত্রীর কান পর্যন্ত গিয়েছে তা এদিন বোঝা গেল। এবার পুরসভার টনক নড়বে বলে আশা রাখি। অন্যদিকে, শহরের বুকে একের পর এক বহুতল আবাসন ঘিরেও নানা প্রশ্ন রয়েছে। কয়েকদিন আগেই ১২ তলার আবাসন তৈরি হয়েছে মূল রাস্তা থেকে মাত্র কয়েক ফুট দূরেই। এছাড়াও ওয়ার্ডের ভেতরে ভেতরে গজিয়ে উঠছে বহুতল আবাসন। সবই পুরসভার খাতায় কলমে ঠিকঠাক থাকলেও জলের জোগান, বাতাস পাশ করা কিংবা নির্দিষ্ট দূরত্ব ছাড় রেখে বহুতল তৈরি নিয়ে আশপাশের বাসিন্দাদের নানা প্রশ্ন রয়েছে। জেলা প্রশাসনে অভিযোগও জানিয়েছেন কেউ কেউ। এবার মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সদরের হাল ফেরে কিনা এখন সেটাই দেখার। এই প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি আর কারও উপর ভরসা করে থাকছি না। নিজে বুধবার সকাল থেকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরব। কেউ নিজের এলাকায় কাজ না করলে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।