আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
কাটোয়া পাট ক্রয়কেন্দ্রের ইনচার্জ মনীশ জয়সওয়াল বলেন, কাটোয়া ক্রয়কেন্দ্র ২০২৩-’২৪ বর্ষে পাট কেনার ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। চাষিরা যাতে সরাসরি আমাদের ক্রয়কেন্দ্রে এসে নিজেরাই পাট বিক্রি করেন সেব্যাপারে আমরা প্রচার করি। সেই প্রচারে এবার আমরা সাফল্য পেয়েছি। তাছাড়া এবার বাজারের চেয়ে সরকারি নির্ধারিত মূল্য বেশি থাকায় চাষিরা সরাসরি এসে পাট বিক্রি করেছেন।
সারা দেশে মোট ১১০টি পাট ক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। কাটোয়ায় ২০২৩-’২৪ বর্ষে ১৪০০ জন চাষি পাট বিক্রি করেছেন। চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ৩৫ হাজার ৩৯২ কুইন্টাল পাট কেনা হয়েছে। এজন্য দপ্তর ১৬ কোটি ৭০লক্ষ টাকা চাষিদের দিয়েছে। যা দেশের সমস্ত কেন্দ্রের মধ্যে প্রথম স্থান পেয়েছে। ফড়ে রুখতেও কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া। একজন চাষি নিজে ৭০ কুইন্টালের বেশি পাট বিক্রি করতে পারবেন না। আগে তাঁর নাম রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়েছে।
মূলত পাটের মান দেখেই তার দাম নির্ধারণ হয়। সেই অনুযায়ী চাষিরা দাম পান। ২০২৩ সালে মাঝারি মানের অর্থাৎ গ্রেড-৩ এক কুইন্টাল পাটের দাম সরকারিভাবে ৫০৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্রেড-১ এর ক্ষেত্রে মিলবে ৫৭৫০ টাকা ও গ্রেট-২ এর ক্ষেত্রে ৫৫৫০টাকা। মান খারাপ হলে, গ্রেড-৪ ও ৫ এর ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৪৫০০ ও ৪২৭৫ টাকা মেলে। জুট কর্পোরেশনের বিভিন্ন পাট ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে সহজেই এই দামে পাট বিক্রি করতে পারেন চাষিরা।
কাটোয়ায় উৎপাদিত পাটের গুণগত মান নির্ধারণের জন্য বৈদ্যুতিক ল্যাবরেটরি চালু করেছে জেসিআই। পাট চাষিরা সরাসরি ল্যাবরেটরিতে এসে পাটের মান যাচাই করতে পারেন। জুট কর্পোরেশনের অধীনে দেশের প্রথম ল্যাবরেটরি এখানেই চালু হয়েছে। আগে পাটের গুণগত মান নির্ণয় করা হতো চোখে দেখে। হাত দিয়ে পরীক্ষা করে। ফলে যিনি পরীক্ষা করছেন তাঁর উপরই নির্ভর করত পাটের মান কেমন। তা নিয়েও প্রশ্ন উঠত। এবার সেসব সমস্যা মেটাতেই বৈদ্যুতিক যন্ত্র দিয়ে পাটের মান নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয় জুট কর্পোরেশন। পাটের রং, টেকসই, মোটা, কতটা লম্বা বিচার করে পাটের মান নির্ণয় করে এই যন্ত্র। চাষিকে একটি সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়। ওই সার্টিফিকেট দেখিয়ে তাঁর যে দাম প্রাপ্য সেই মূল্যেই পাট বিক্রি করতে পারছেন চাষিরা। চাষিরা বিনামূল্যে পাটের মান পরীক্ষা করাতে পারবেন।