আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
শাহাদত জঙ্গি সংগঠন কীভাবে তৈরি হল? গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, মে মাসের শেষের দিকে এই জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশের র্যাবের নজরে আসে। তারা সেইসময় মহম্মদ ইসমাইল হোসেন, মহম্মদ জিহাদ হোসেন এবং মহম্মদ আমিনুল ইসলাম নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব জানতে পারে, তারা আনসার আল ইসলাম নামে একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। পরে র্যাবের আধিকারিকরা জানতে পারেন, আনসার আল ইসলামের আড়ালে শাহাদত নামে আরেকটি সংগঠন গড়ে উঠেছে। সেটি ভারতবর্ষ থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সালাউদ্দিন সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে সংগঠন বিস্তার করছে। তবে তাদের উদ্দেশ্য এদেশে হামলা করা নয়। তারা বাংলাদেশে নিজেদের শাসন কায়েম করতে চাইছে।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সালাউদ্দিনের টিম সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া নজর রাখে। বিভিন্ন গ্রুপ তারা চালু রেখেছে। সেসব গ্রুপে অ্যাড হওয়ার পরই তারা মতিগতি দেখে ‘শিকার’ ঠিক করে। ছাত্ররাই সাধারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় ওইসমস্ত গ্রুপ বা সাইট সার্চ করে। কেউ প্রভাবিত হয়ে গেলে তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে মগজধোলাই চলতে থাকে। বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তাদের কাছে পাঠানো হয়। মগজধোলাই হয়ে গেলে ধাপে ধাপে তাদের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নব্যদের প্রাথমিক কাজ থাকে সদস্য সংগ্রহ করা। পরে তাদের প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হয়। এক আধিকারিক বলেন, জঙ্গি দমনে র্যাব যথেষ্ট সক্রিয়। জেএমবি বা অন্য সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ হয়েছে। ওই সংগঠনগুলির বহু মাথা গ্রেপ্তার হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনগুলির দিকে গোয়েন্দাদের নজরও রয়েছে। সেকারণে এদেশে বসে তারা নেটওয়ার্ক বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।