যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক প্রিয়রঞ্জন সন্নিগ্রাহি বলেন, বৈশাখ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে দেশি প্রজাতির লিচুর রং ধরতে বা পাকতে শুরু করে। এই সময় উষ্ণতা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পৌঁছলেই লিচুর ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। গাছেই লিচুর খোসা শুকিয়ে কালো হয়ে ফেটে যায়। তাছাড়া রস শুকিয়ে সাইজ ছোট হয়ে ফলনে ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই পরিস্থিতিতে ধারাবাহিকভাবে ভোর ও সন্ধ্যার ঠিক আগে গাছে জল স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যাবে। কিছুটা হলেও ক্ষতি এড়ানো যেতে পারে।
নবাবের জেলায় আমের পাশাপাশি লিচু চাষেও খ্যাতি রয়েছে। তবে আমের তুলনায় লিচু চাষ অনেকটা কম। চলতি বছর জেলায় আমের ‘অফ ইয়ার’ হলেও লিচুর ফলন ভালোই হয়েছে। জেলা উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জ, ফরাক্কা, সূতি, মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ, রানিনগর-১, ২, বহরমপুর প্রভৃতি ব্লকে লিচু চাষ হয়ে থাকে। চলতি বছরে গাছ ভরে গুটি আসতেই লিচু চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছিল। ভালো রোজগারের আশায় তাঁরা বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু গত একমাস ধরে টানা তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টি না হওয়ায় লিচু চাষিদের মুখের হাসি অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে। জিয়াগঞ্জের লিচু চাষি বিশ্বনাথ মণ্ডল বলেন, এবছর ১০ শতাংশ আমের ফলন হয়নি। গাছ ভরে গুটি আসায় ভেবেছিলাম লিচুর ফলন দিয়ে আমের ঘাটতি পুষিয়ে যাবে। কিন্তু লিচুর রং ধরতেই দিনে পাখি, কাঠবিড়ালি ও রাতে বাদুড়ের ভয়ানক উপদ্রব শুরু হয়েছে। এদিকে দিনকয়েক ধরে দুপুরে গরম বাতাস বইছে। তাপপ্রবাহে লিচুর খোসা ঝলসে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়ায় রসের ঘাটতিতে লিচু বড় হচ্ছে না। প্রমাণ সাইজ না হওয়ায় দাম পাওয়া যাচ্ছে না। ৪০ হাজার টাকায় দু’টি লিচু বাগান লিজ নিয়েছেন লালবাগের সিকান্দার আলি। তিনি বলেন, গত বছর অফ ইয়ার থাকায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিলাম। এবছর গাছ ভরে লিচু হয়েছে। কিন্তু পাকার ঠিক আগে থেকে টানা তাপপ্রবাহে সাইজ ছোট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে বৃষ্টিও নেই। বৃষ্টি না হলে লিচুর গুণমান ও ফলন দুই ক্ষেত্রেই ব্যাপক ঘাটতি হবে। লাভ তো দূরের কথা, লিজের টাকাটাই উঠবে বলে মনে হচ্ছে না।