যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
ধনীরামপুর ভাদুরিয়াপাড়া গ্রামীণ সড়কের ধারে দেবীপুর বাজারে দোতলায় ওই মিনি ব্যাঙ্কটি রয়েছে। দেবীপুর অঞ্চলের বহু গ্রাহকের লক্ষ লক্ষ টাকা ওই ব্যাঙ্কে গচ্ছিত আছে। অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে ওই ব্যাঙ্ক থেকে ঠিকভাবে টাকা তুলতে পারছেন না গ্রাহকরা।
ফিক্সড ডিপোজিটের টাকাও পড়ে রয়েছে। ন’বছর আগে ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা সুদের হারে বর্তমানে দ্বিগুণ হয়েছে। নিয়ম অনুসারে মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় গ্রাহকরা চাইলেও ওই ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা তুলতে পারেন। কিন্তু অভিযোগ, ব্যাঙ্কে গেলেই একসঙ্গে অত টাকা দেওয়া যাবে না বলে কিছু টাকা দিয়ে মাসের পর মাস ঘোরানো হচ্ছে। ৭০হাজার টাকা তুলতে গেলে মাত্র সাত হাজার টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই অচলাবস্থা চলছিল। এরপরই বৃহস্পতিবার গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ব্যাঙ্কে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এলাকার বাসিন্দা নমিতা সরকার বলেন, ব্যাঙ্কে প্রায় ৭০হাজার টাকা গচ্ছিত রয়েছে। সেই টাকা তোলার জন্য কয়েকমাস ধরে ঘুরছি। সবসময় আমাদের বলা হচ্ছে ক্যাশ নেই। ক’দিন আগে ৭০হাজার টাকার মধ্যে মাত্র আট হাজার টাকা দিয়েছে আমাকে। দেবীপুর ঘোষপাড়ার পুষ্পরানি সরকার বলেন, ন’বছর আগে ৫০হাজার টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলাম।
বর্তমানে সুদ সহ সেই টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ টাকা। নিজের টাকা সুরক্ষিত রাখতে এই সমবায় ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলাম। সাত মাস আগে ফিক্সড ডিপোজিটের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও টাকা তুলতে পারছি না। ক্যাশ নেই বলে বলা হচ্ছে। খুব দরকার সত্ত্বেও টাকা পাচ্ছি না। অবিলম্বে আমাদের জমানো টাকা ফেরত দেওয়া হোক।
গ্রাহকদের অসুবিধার কথা স্বীকার করে নিয়ে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার লোকেশ দাস বলেন, গ্রাহকদের ক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিক। আমার আগের ম্যানেজার নিয়ম না মেনেই ব্যাঙ্কের টাকা থেকে গ্রাহকদের ঋণ দিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত অনেকেই সেই ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। সেকারণে যেসব গ্রাহকের টাকা গচ্ছিত রয়েছে তা ঠিকভাবে দিতে পারছি না। ঋণের টাকা রিকভারি করার চেষ্টা চালাচ্ছি। যতটুকু টাকা রিকভারি হচ্ছে তা ভাগ ভাগ করে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত এই পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।