যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজার সংলগ্ন ১৪, ১৫ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় যখন তখন দেখা যাচ্ছে ওই ময়ূরটিকে। কখনও কারও বাড়ির ছাদে তো কখনও উঁচু কোনও গাছের ডালে বসে থাকছে সেটি। বৃহস্পতিবার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কমলপুর প্লটে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় ময়ূরটিকে। এক বাড়ির ছাদ থেকে উড়ে অন্য বাড়ির ছাদে বসছে। ডানপিটে ছেলেরা তাকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ছে। তাড়াও করছেন। এলাকার মানুষজন তাদের বাঁধা দিচ্ছেন। এদিন এলাকাবাসীরা দুর্গাপুর বনদপ্তরে খবর দেন। বনদপ্তরের প্রতিনিধি দল আসে ময়ূরটিকে উদ্ধার করতে। কিন্তু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়ন্ত দে বলেন, ময়ূর সাধারণত জঙ্গলে ও চিড়িয়াখানায় দেখা যায়। এভাবে শহরাঞ্চলে ময়ূর চলে আসায় কৌতূহলী মানুষজন ভিড় করছেন। অবাক হচ্ছেন। ময়ূরটি এই এলাকায় অসুরক্ষিত রয়েছে। বিষয়টি বনদপ্তরকে জানানো হয়েছে। বাসিন্দা মিতালি নায়েক ও করুণাময়ী পাণ্ডে বলেন, একদল ছেলেছোকরা ময়ূরটি ধরার চেষ্টা করছে প্রায়ই। ঢিল ছুড়ছে। যদিও অনেক উচু স্থানে বসে থাকছে ময়ূরটি।
ময়ূরটি এক সপ্তাহ আগে এলাকায় এসেছে বলে জানিয়েছেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার অসীমা চক্রবর্তী। তবে কোথা থেকে এসেছে, বলতে পারেননি। ভোটের দিন আশপাশের এলাকার বহু মানুষ ময়ূরটি দেখতে ভিড় করেছিলেন।
দুর্গাপুর বনদপ্তরের কর্তা শেখ কালাম বলেন, দুর্গাপুর শহর লাগোয়া দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক ও কাঁকসা ব্লকের জঙ্গলে প্রচুর ময়ূর রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে গড় জঙ্গলের দেউল এলাকায় প্রথম ময়ূর সংরক্ষণ করা হয়। ওই সংরক্ষিত ময়ূরের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েক বছরে বন বিভাগের প্রতিটি জঙ্গলে ময়ূর ছড়িয়ে গিয়েছে। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে প্রায়শই আশপাশের লোকালয়ে ময়ূর চলে যায়। কিন্তু এই ময়ূরটি জনবহুল এলাকায় কোথা থেকে উড়ে এসেছে বোঝা যাচ্ছে না। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ এলাকা থেকেও আসতে পারে। আমরা প্রায় দিনই ময়ূরটি উদ্ধার করতে এলাকায় যাচ্ছি। ময়ূরটি খাবার ও জল সংগ্রহ করতে পারছে বলে এলাকায় রয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্ক ময়ূরটি সুস্থ রয়েছে। কোনও ক্ষতি যাতে না হয় তার জন্য নজরদারি চালানো হচ্ছে।