যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
ওইদিনই দুপুরে ভুড়ি পঞ্চায়েত এলাকায় তিনি কর্মিসভা করেন। রোড-শোতেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রচারের ফাঁকে গাছতলায় দাঁড়িয়ে তিনি এলাকার বাসিন্দাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনছিলেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এটাই তৃণমূল প্রার্থীর ইউএসপি। তিনি যেন এলাকার বাসিন্দাদের কাছে ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন। খণ্ডঘোষ ও গলসি বিধানসভা কেন্দ্রে গিয়ে তিনি নিজের স্টাইলে বাজিমাত করছেন। বৃদ্ধ, বৃদ্ধাদের কাছে গিয়ে আশীর্বাদ চাইছেন। আবার মহিলাদের কাছে গিয়ে সংসারের কথা শুনছেন। শুধু তাই নয়, রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স আটকে গেলেও গাড়ি থেকে নেমে যাচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার রাস্তা করে দিচ্ছেন। শাসকদলের দাবি, খণ্ডঘোষ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি বিপুল ভোটে লিড পাবেন। কিন্তু তারপরও আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগতে নারাজ। এই বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তিনি প্রচার করেছেন। গলসির সাতটি পঞ্চায়েতে বাড়তি জোড় দিয়েছেন। এই এলাকার কয়েকটি জায়গায় বিজেপি মাথা তোলার চেষ্টা করছে। সেকারণে এখানকার সাতটি পঞ্চায়েতে শাসকদল বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসও ওই এলাকায় গিয়ে প্রচার করছেন। তিনি বলেন, বিজেপিকে মানুষ ভোট দেবে না। আমাদের কর্মসূচিগুলিতে ভিড় উপচে পড়ছে। মহিলারা রাস্তায় নামছে। তৃণমূল প্রার্থী প্রচারে বেরিয়ে বলছেন, দিদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করে মহিলাদের স্বনির্ভর করেছেন। বিজেপি তা বন্ধ করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। ওরা হাজার চেষ্টা করলেও তা পারবে না। ইভিএমে ওরা এমন জবাব পাবে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, তৃণমূলের কাজই হল মানুষকে ভুল বোঝানো। সেটাই ওরা করছে। কুৎসা রটাচ্ছে। তৃণমূল নেতারা তোলাবাজি করেছে। মানুষের কাজ করেনি।
প্রচারে বেরিয়ে দু’পক্ষই একে অপরকে তোপ দাগছে। বিজেপি প্রার্থীও এই দুই এলাকায় একাধিকবার প্রচার করেছেন। কিন্তু ঘরের মেয়ে ইমেজে তৃণমূল প্রার্থী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যেন একাত্ম করে যাচ্ছেন। গলসির একটি সভা থেকে সুজাতা বলেন, আমার উপর কী অত্যাচার হয়েছে তা আপনারা জানেন। বিজেপি মহিলাদের সম্মান দিতে জানে না। ওদের সবাই মিলে জবাব দিতে হবে। আপনারা পাশে থাকবেন। আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে। যখন ডাকবেন তখন আসব। আপনারাই আমার ভরসা।