যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
নির্বাচনের আগে এই বিধানসভা কেন্দ্রে নিজেদের কোন্দল শাসক দলের নেতৃত্বকে চাপে রেখেছিল। দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হস্তক্ষেপ করতে হয়। কালনার বৈঠক থেকে তিনি কড়া দাওয়ায় প্রয়োগ করেন। তাতেই কাজ হয়েছে। রায়না-১ ব্লক দেখার দায়িত্ব বামদেব মণ্ডলকে দেওয়া হয়। রায়না-২ ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রাক্তন সভাধিপতি শম্পা ধাড়াকে। সেই মতো তাঁরা ঘুটি সাজাতে থাকেন। কোন ব্লক বেশি লিড দিতে পারবে, তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কার্যত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন দু’টি ব্লকেই শাসক দলের নেতারা দাপিয়ে ভোট করায়। রায়না-১ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি বামদেব মণ্ডল বলেন, সারা বছর আমাদের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ থাকে। সিপিএম বা বিজেপি ভোটের সময় পরিযায়ী হয়ে আসে। তাই মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। রায়নার প্রতি বুথে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। বিরোধীরা এজেন্ট দিতে না পারলে আমাদের কিছু করার নেই।
ভোটের দিন রায়না নিয়ে বিরোধীরা তেমন অভিযোগ করেনি। শুধু কয়েকটি বুথ থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছিল বলে সিপিএম দাবি করে। পরে অবশ্য সেই এজেন্টদেরও বুথে ঢোকানো হয়। ভোটাররা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ায় অশাবাদী বামেরা। সিপিএম প্রার্থী নীরব খাঁ বলেন, আমরা চেয়েছিলাম ভোটাররা নিজের ভোট নিজে দিক। সেটাই হয়েছে। মানুষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দেবে বলে আমরা নিশ্চিত। বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার বলেন, ৪ জুনের পরই সব বোঝা যাবে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের বামেদের একাংশ গেরুয়া শিবিরের ছাতার তলায় গিয়েছিল। সেই কারণে সেবারের নির্বাচনে বিজেপি কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকায় দাপট দেখিয়েছিল। এবার সেই ছবি দেখা যায়নি। ২০১৯ সালে নির্বাচনে লিডের নিরিখে বিজেপি এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। এবার তারা সেই জায়গা দখলে রাখতে পারবে কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের অনেকের অবশ্য দাবি, ভোটাররা চুপচাপ পদ্মফুলে বোতাম টিপেছে।