যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের মালপাড়ার বাসিন্দা এক যুবকের পাঁচদিন আগে বিয়ে হয়েছে। যদিও তাঁর স্ত্রীকে পছন্দ হয়নি। প্রতিবেশী দুই সন্তানের মা এক বধূর সঙ্গে তাঁর পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এনিয়ে বুধবার বিকেলে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি হয়। গ্রামের এক মহিলা বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে দুই সন্তানের মা ওই বধূ টোটোয় চেপে ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় নতুন বিয়ে হওয়া ওই যুবক মোবাইলে তাঁর ছবি তোলার পাশাপাশি তাঁকে বিয়ে করবেন বলে জোরজবরদস্তি করতে থাকেন। ওই বধূ ফিরে গিয়ে ঘটনাটি পরিবারকে জানান। এরই মধ্যে যুবকের পরিবারের লোক বধূর বাড়িতে এসে প্রশ্ন তোলে, কেন তাঁদের ছেলের সর্বনাশ করছে? বধূকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। এরপরই দুই পরিবারের মধ্যে মারপিট শুরু হয়। খবর পেয়ে গ্রামে কয়েকজন পুলিস কর্মীকে নিয়ে গ্রামে আসেন মল্লারপুর থানার এএসআই জনার্দন ঘোষ। গ্রামের এক মহিলা বলেন, পুলিস আসায় গ্রামেরই বুধু দাস নামে এক যুবক ঘটনাস্থলে যায়। পুলিস তাঁকে চলে যেতে বললেও শোনেননি। সেই সময় এক পুলিস অফিসার তাঁকে মারধর করার পাশাপাশি গলা চেপে ধরেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কেন গায়ে হাত দিল, পুলিসকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে গ্রামবাসীদের একাংশ। এদিকে মিটমাট না হওয়ায় যুবকের বাড়ির একজনকে পুলিস ধরে গাড়িতে তোলে। এরপরই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন জনতা। গ্রামবাসীদের কয়েকজন তাকে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করে। যা নিয়ে উত্তেজনা ব্যাপক আকার নেয়। পুলিসের সঙ্গে গ্রামবাসীদের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। লাঠি দিয়ে মারধরের পাশাপাশি পুলিসকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইট, পাটকেল ছোড়া হয়। লাঠি ও ইটের আঘাতে সাতজন পুলিসকর্মী জখম হয়েছেন। এসআই বাপ্পা ঘোষ, এএসআই জনার্দন ঘোষ ও জামাল হকের আঘাত গুরুতর। তারমধ্যে জনার্দনবাবু গ্রামের রাস্তার উপরই পড়েছিলেন। পরে এসডিপিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছলে গ্রামবাসীরা পালাতে শুরু করেন। জখমদের উদ্ধার করে মল্লারপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়। এরমধ্যে জনার্দনবাবুর মাথায় ৪০টি সেলাই পড়েছে। জামাল হকেরও মাথাতেও বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ওই দুই অফিসারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে জখমদের বের করে নিয়ে আসার পরই ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু হয়। পুলিস দেখে মাঠের আল ধরে পালাতে শুরু করে অনেকে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিস ক্ষিপ্ত হয়ে কার্যত বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায়। বেশ কয়েকজন নির্দোষ গ্রামবাসীকে লাঠিপেটা করে গাড়িতে চাপিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
যদিও লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিস। এসডিপিও বলেন, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ন’জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা পুলিসকে মারধরে যুক্ত কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাতেও অভিযান চলবে।