সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে প্রকল্প অঞ্চলের কেন্দ্রপাহাড়িতে প্রথম ধাপের বোরিংয়ের কাজ শুরু হয়। পরে হরিণশিঙাতেও বোরিং চলে। এর ফলে কয়লার স্তরের গভীরতা, অবস্থান নিখুঁতভাবে জানা যাবে। প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, প্রথমে ১৪ ও দ্বিতীয় ধাপে ৩০টি পয়েন্টে বোরিং করা হবে। ইতিমধ্যেই হরিণশিঙা-দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় বোরিংয়ের কাজ প্রায় শেষের মুখে। তারইমধ্যে শনিবার থেকে দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হয়ে গেল। এই ধাপে সেকেড্ডা, ভাড়কাটা, দেউচা, পুরাতনগ্রাম গ্রামগুলিতে বোরিং হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেউচা পাচামি নিয়ে অনেকদিন ধরেই টালবাহানা চলছিল। কিন্তু সমস্ত বাধা পেরিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাই এই শিল্পের জন্য এগিয়ে আসে। মুখ্যমন্ত্রী ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য মানবিক প্যাকেজ ঘোষণা করতেই ব্যাপক সাড়া পড়ে।
বাসিন্দাদের সঙ্গে বারবার আলোচনা করেন প্রশাসনের কর্তারা। শেষমেশ প্রকল্পের বোরিংয়ের কাজ শুরু হতেই এলাকাবাসীদের মধ্যে উৎসাহ কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ওই অঞ্চলের ২৬০জন কনস্টেবল চাকরি পেয়ে বারাকপুরে পুলিস ক্যাম্পে ট্রেনিং নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে আশার আলো আরও বাড়ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।
জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, বাসিন্দাদের উৎফুল্লতা দেখে আমরাও আপ্লুত। তাঁরা গ্রামসভা ডেকে আমাদের হাতে অনুমতিপত্র দিলে তবেই কাজে নামা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সমস্ত বাসিন্দারাই এগিয়ে আসবেন বলেই মনে করি।