সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
তৃণমূল জানিয়েছে, কাশিমুদ্দিন শেখ গোটলু বুথের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি সুদের ব্যবসা করতেন। শুক্রবার রাত থেকে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বার বার ফোন করা হলেও ফোন তোলেননি। এদিন সকালে খোঁজাখুজি করার সময় বাসথুপি এলাকায় একটি রাস্তার ধারে ধানের খেতে তাঁর ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ মেলে। এরপর পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। পুলিস কুকুর দিয়েও এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। তবে এতে বিশেষ কিছু মেলেনি।
রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সানা আক্তার বলেন, মৃত ব্যক্তি সুদের ব্যবসা করতেন। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। শুক্রবার রাতে যাকে শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ইটাহারের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের মোশারফ হুসেন বলেন, বিধানসভা ভোটের সময় ব্লক সভাপতি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। সেই থেকেই ব্লক, অঞ্চল এবং বুথ কমিটি নেই। কাশিমুদ্দিন সাহেব সেসময় বুথ সভাপতি ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে দলের কোনও পদে ছিলেন না। আমাদের দলের কর্মী ছিলেন। তাঁর খুনের ঘটনায় সম্ভবত কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। ব্যবসায়িক কারণে খুন হয়ে থাকতে পারেন। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।
মৃতের ভাইপো আনোয়ার হুসেন বলেন, শুক্রবার রাতে কাকা বাড়িতে ফেরেননি। ফোন করলে ফোনও তোলেননি। এদিন সকাল থেকে আমরা তাঁকে খোঁজাখুঁজি করছিলাম। স্থানীয় একজন জানায় রাতে ওই এলাকায় দেখা গিয়েছে। এখানে এসে দেখতে পাই রাস্তায় জুতো পড়ে আছে। একটু সামনে এগতেই দেখতে পাই কাকার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কাশিমুদ্দিন সাহেবের গ্রাম গোটলুর পাশের গ্রাম বাসথুপি। গোটলু ও বাসথুপি গ্রামের মাঝে ফাঁকা জায়গায় মৃতদেহটি পড়ে ছিল। জায়গাটি তাঁর বাড়ি থেকে ১ কিমি দূরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে ইটাহারে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। বাসিন্দাদের অনুমান, কাউকে হয়ত তিনি মোটা টাকা সুদে ধার দিয়েছিলেন। টাকা যাতে ফেরত দিতে না হয় সেজন্য তাঁকে খুন করা হতে পারে। দুষ্কৃতীরা তাঁকে গলার নলি কেটে খুন করেছে। পেটে ও অন্যান্য জায়গাতেও ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের লোকেরাও শোকে আচ্ছন্ন। সকলেই দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবি করছে।