সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
ডাঃ বি আর আম্বেদকর আবাসিক শিক্ষা নিকেতন নামের এই স্কুল একসময় রমরম করে চলত। ক্লাস হতো ফাইভ থেকে টেন পর্যন্ত। ছেলে এবং মেয়ে সবাই পড়তে পারত এখানে। এছাড়াও রাজ্যের মধ্যে অন্যতম বিশেষ ধরনের স্কুল ছিল এটি। এই স্কুল তৈরি হয়েছিল মূলত আদিবাসী ও তফসিলি ছাত্রছাত্রীদের জন্য। এলাকার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষকরা এগিয়ে এসেছিলেন এর ঘরবাড়ি তৈরি করতে। তৈরি হয়েছিল সাতটি শ্রেণিকক্ষ, অফিস, হলঘর এমনকী আবাসন। বি আর আম্বেদকরের চিন্তাচেতনার মূর্ত রূপকে তুলে ধরেছিল এই স্কুল। এলাকায় ড্রপ–আউট কমে গিয়েছিল। ১৫ জন শিক্ষক তাঁদের জীবনের সেরা সময় এমনকী অর্থও উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু, কেন বন্ধ হল এই স্কুল? এলাকার বাসিন্দা তথা শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, কিছুদিন চালানোর পর এই স্কুলের জন্য কেন্দ্রের থেকে আর্থিক সহায়তা আর অনুদান পাওয়া যেত নিয়মিত। কিন্তু, একসময় ধীরে ধীরে তা বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে, চারপাশের স্কুলে এখন অনেক সুযোগ-সুবিধা। তাই ধীরে ধীরে নিতান্ত অর্থের অভাবে শুকিয়ে যায় এই উদ্যোগ। চারপাশে গাছগাছালি আর আগাছার সংসারে দাঁড়িয়ে আছেন একা আম্বেদকর। একসময় কর্জনা, আড়া, বামুনাড়া সহ আশপাশের অঞ্চল থেকে ছেলেমেয়েরা সেখানে পড়তে আসত।
গ্রামের মানুষ এখনও চান, ১৭ কাঠা জায়গার উপর গড়ে ওঠা এই আবাসিক স্কুল আবার পুরনো গৌরব নিয়ে চালু হোক। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু রাজ্যের আদিবাসী নেতা। তিনি বলেন, রাজ্যে এমন কয়েকটি আবাসিক স্কুল ছিল। কেন্দ্রের অবহেলার ফলে এগুলি এখন ধ্বংসের অতলে। নতুন কোনও উদ্যোগ নিয়ে কী আবার বাঁচিয়ে তোলা যায় না এই অন্যরকমের স্কুল? তার উত্তর কেউ জানে না। এলাকার বাসিন্দা তথা রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু কোনার বলেন, এলাকার বাসিন্দারা অনেক আশা নিয়ে এই স্কুলবাড়ি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু, কেন্দ্র সরকার সাহায্যের হাত না বাড়ানোয় সব ধ্বংসের পথে। আমরা চাই, কেন্দ্রীয় সরকার এগিয়ে আসুক। আমরা নতুন রাষ্টপতির কাছে এই আবেদন করছি।