বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
ওই সভা শেষে তিনি গঙ্গাজলঘাঁটি থেকে বেরিয়ে দেশুড়িয়া হয়ে বেলিয়াতোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। মাঝে বিড়রা মোড়ে অগণিত মানুষ নেতাজির পথ আটকান। সেখানেও নেতাজি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন। তাই সেই সময়ের পর গঙ্গাজলঘাঁটির পাশাপাশি বিড়রাতেও নেতাজির মূর্তি স্থাপন করা হয়। কর্মকার পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গঙ্গাজলঘাঁটিতে নেতাজির ওই সভার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চেয়ার নেওয়া হয়েছিল। সেখানে দেশুড়িয়ার বাসিন্দা
রামরূপ কর্মকারের চেয়ারও রাখা হয়েছিল। রামরূপবাবু তখন সদ্য কাঠের চেয়ারটি রানিগঞ্জ থেকে তৈরি করে এনেছিলেন। সভামঞ্চে ব্যবহারের জন্য তা আয়োজকদের দেন। সেই চেয়ারেই নেতাজি সভামঞ্চে বসেন। সভাশেষে ওই চেয়ার রামরূপবাবু মাথায় করে বাড়ি নিয়ে আসেন। তারপর বাড়ির সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই চেয়ার যেন আর কেউ না ব্যবহার করে। সেই দিন থেকেই ওই চেয়ারটি স্থান হয় ঠাকুর ঘরে। ওই সভায় গিয়েছিলেন রামরূপবাবুর ছেলে নিরঞ্জন কর্মকার। তখন তাঁর বয়স ছিল ন’বছর। বিপুল জনসমাগমের মাঝে দাঁড়িয়ে তিনিও দেখেছিলেন, নেতাজিকে।
এখন তাঁর বয়স ৯০-এর গোড়ায়। নিরঞ্জনবাবু বলেন, গঙ্গাজলঘাঁটিতে আসার পর নেতাজির চেয়ার ব্যবহারের ঘটনা বাবার কাছ থেকে শুনেছি। বাবার নির্দেশমতো ওই চেয়ার আজও বাড়িতে পুজো করা হয়। চেয়ারে নেতাজির ছবি রাখা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা সেখানে ফুল, ধূপ দেওয়া হয়। বাড়ির বধূ শ্রীরূপা কর্মকার পেশায় শিক্ষিকা। তিনি বলেন, বিয়ের পর এই বাড়িতে যখন আসি তখন শাশুড়ির নির্দেশমতো কূলদেবতার পাশাপাশি নেতাজির ব্যবহৃত ওই চেয়ারকেও প্রণাম করেছিলাম। এই রীতি দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সন্তু সিংহ ও কৌশিক ঘোষ বলেন, নিরঞ্জনবাবুর বাড়িতে নেতাজির ব্যবহৃত চেয়ার আমাদের অমূল্য সম্পদ। তা জানার পরই এদিন নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে সেই চেয়ার দেখানো হয়।