বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
তমলুক শহরে লালদিঘিতে আজাদ হিন্দ ক্লাবের উদ্যোগে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন এবং রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, নেতাজি ভারতবর্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে প্রথম সারিদের মধ্যে অন্যতম নায়ক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজির জন্মদিন পালনের জন্য জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। তবে, দেরিতে হলেও তারা নেতাজিকে স্মরণ করার জন্য ‘পরাক্রম দিবস’ পালনের কর্মসূচি নিয়েছে।
তমলুকে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালিত হয়েছে। তমলুক পুরসভার সামনে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে সেখানে শ্রদ্ধা জানানো হয়। কাঁথি এবং এগরা মহকুমা কংগ্রেস কার্যালয়েও নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালিত হয়েছে। কাঁথি শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে নেতাজির জন্মমুহূর্ত স্মরণ করা হয়। সারা বাংলা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ১২৫তম জন্মবর্ষ উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে তমলুক মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান, প্রভাত ফেরি এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় নেতাজি জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। পাঁশকুড়া পুরসভার ১০নম্বর ওয়ার্ডে নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী সৌমেনবাবু।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও সর্বত্র নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালিত হয়েছে। খড়্গপুর-২ব্লকের ঝিলিঙ্গায় নেতাজি গ্রামীণ উৎসবের উদ্বোধন ও নেতাজির পূর্ণাবয়ব মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন মন্ত্রী সৌমেনবাবু। মেদিনীপুর শহরে রবীন্দ্রনিলয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেশনায়ক দিবস পালন ও শোভাযাত্রা বের করা হয়। মেদিনীপুর শহরে কলেজ স্কোয়ারে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব, সংস্থা এবং জনপ্রতিনিধিরা। গোটা জেলায় প্রতিটি ব্লক ও পুরসভায় যুবকল্যাণ এবং ক্রীড়াদপ্তরের উদ্যোগে সুভাষ উৎসব পালিত হয়েছে। নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে মেদিনীপুর অ্যাথলেটিক ক্লাবের উদ্যোগে কলেজ ময়দান থেকে ১০মাইল দৌড় প্রতিযোগিতা হয়। উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি।
ঝাড়গ্রাম জেলাতেও নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুরসভার উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রা হয়। তাতে জেলাশাসক আয়েষা রানি এ, পুলিস সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, পুরবোর্ডের প্রশাসক প্রশান্ত রায় সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা নেতাজির ছবি নিয়ে পদযাত্রায় হাঁটেন। শহরের সুভাষচকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নেতাজির মূর্তিতে মালা দেন জেলাশাসক ও পুলিস সুপার সহ প্রাক্তন কাউন্সিলাররা। এছাড়াও গোটা জেলায় সুভাষ উৎসব হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে পদযাত্রা হয়। ঝাড়গ্রাম কংগ্রেস ভবনে কংগ্রেস নেতৃত্ব নেতাজির জন্মদিন পালন করে।