বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
বেলপাহাড়ী ব্লকের ভেলাইডিহা পঞ্চায়েতের এঁঠেলার জঙ্গল এলাকায় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে গাছ কাটা শুরু হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাঁচশো শালগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বনদপ্তরের দাবি, নিয়মমাফিক জঙ্গলের শালগাছ কয়েক বছর অন্তর কাটা হয়। কাটা জায়গা থেকে আবার শাল গাছ জন্মায়। কাটা গাছ বিক্রি করে বনজ সম্পদের লভ্যাংশ বন সুরক্ষা কমিটিগুলিকে দেওয়া হয়। এটা জঙ্গল ধ্বংস নয়। তবে কুর্মি সমাজের লোকজন অভিযোগ করেন, এর ফলে জঙ্গলের গাছ কমে গিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মেছুয়া, ধুলিয়াপুর, দিয়াশি, বাকড়া গ্রামের কুর্মি সমাজের লোকজন গাছের সামনে জমায়েত করেন। ১০ জানুয়ারি কুর্মি সামজের মানুষের বিক্ষোভের জেরে গাছ কাটা বন্ধ হয়ে যায়। কুর্মি সমাজের মানুষজনের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার থেকে আদিবাসী সমাজের কিছু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়ে গাছ কাটা শুরু হয়েছে। এরই প্রতিবাদে এদিন সকাল দশটা থেকে শিলদা নিমতলা এলাকায় পথ অবরোধ করে কুর্মি সমাজের প্রতিনিধিরা। খবর পেয়ে বনদপ্তরের আধিকারিক ও পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। কুর্মি সমাজের রাজ্য কমিটির কোষাধ্যক্ষ নির্মলকুমার মাহাত বলেন, শাল গাছ কাটার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন আমরা করছি। এর আগে ১০ জানুয়ারি বেলপাহাড়ী ব্লকের এঁঠেলা জঙ্গলে শাল গাছ কাটা চলছিল। আমরা আদিবাসী কুর্মি সমাজের পক্ষ থেকে সেই শাল গাছ কাটা বন্ধ করেছি। শাল গাছ কাটা বন্ধ হওয়ার পর ডিএফও আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও রকম আলোচনা না করে আবার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। আমরা বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ হতে পারে। তাই বাধ্য হয়ে পথ অবরোধ শুরু করেছি। আমাদের সঙ্গে অলোচনায় না বসলে আমরা অবরোধ চালিয়ে যাব। এদিকে ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হেলোইচ্চি বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। কী হয়েছে জানি না।