বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫০৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২০৬ জনের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হয়। অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়েছিল ২৮৫ জনের। আর ১৩ জনের ট্রুন্যাট পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে আরটিপিসিআর পরীক্ষায় মাত্র একজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। অ্যান্টিজেন এবং ট্রু্ন্যাট পরীক্ষায় কারও করোনা ধরা পড়েনি। গত দশ মাসে এই প্রথম জেলায় মাত্র একজন আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় গত মার্চ মাসের শেষের দিকে ঘাটাল মহকুমায় একজন যুবক আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত এপ্রিল মাস থেকে জেলায় একাধিকজন আক্রান্ত হতে শুরু করেন। জুন-জুলাই মাস নাগাদ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। গড়ে প্রতিদিন দেড়শো জন করে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। কখনও কখনও সেই সংখ্যাও ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। দুর্গাপুজোর পরপর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় কয়েকগুণ বাড়বে বলে চিকিৎসকরা আশঙ্কা করেছিলেন। যার জন্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে জেলার সব হাসপাতালে রোগী ভর্তি করার সবরকম পরিকাঠামো তৈরি করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে পুজোর পর জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়েনি। বরং, যত দিন যাচ্ছে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা তত কমছে। গত দু’-তিন মাস ধরে জেলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় বড় জনসভা হয়েছে। সেখানে করোনাবিধি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত করেছেন। সেখান থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল। কিন্তু, গত দু’মাসে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। শীতের দিকে অনেকেই সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু, তার আগেই রোগীর সংখ্যা কমতে থাকায় জেলার একের পর এক করোনা হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়। চলতি মাসে জাঁকিয়ে শীত পড়লেও জেলায় সংক্রমণ সেভাবে থাবা বসাতে পারেনি। বাস, ট্রেন, রাস্তাঘাটে লকডাউনের আগের মতো চেনা ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। রেস্তরাঁগুলিতেও অনেকে ভিড় করছেন।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক কর্তা বলেন, এমনিতেই করোনার প্রকোপ অনেকটা কমে গিয়েছে। তার সঙ্গে টিকা চলে আসায় সাধারণ মানুষের ভয় একেবারে কেটে গিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা খুব কম। অধিকাংশ করোনা হাসপাতালেই রোগী ভর্তি নেই। এটা জেলার সকলের কাছেই স্বস্তির বিষয়।