বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
উল্লেখ্য, বর্ধমান ও নদীয়ার সহজতম যোগাযোগ হল ভাগীরথী নদীর উপর কালনা-শান্তিপুর ফেরিঘাট পরিষেবা। আধুনিক জেটি ও লঞ্চের মাধ্যমে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী, বাইক ও লোহার ভেসেলে ভারী যানবাহন পারাপার করেন। বহুদিন ধরেই বাইক ও লোহার ভেসেলে গাড়ি পারাপারে ভাড়ার বাইরে মাঝিদের অতিরিক্ত বকশিসের নামে টাকা তোলা নিয়ে বহু অভিযোগ উঠছিল। এছাড়াও ভেসেলে গাড়ি পারাপারে রসিদ না দেওয়ারও অভিযোগ উঠছিল। সম্প্রতি এই বিষয়ে ‘বর্তমান’-এ সংবাদ প্রকাশিত হয়। বুধবার রাতে কালনার বাসিন্দা এক চিকিৎসক, শিক্ষক ও আইনজীবী গাড়ি নিয়ে রাতে ফেরার পথে ফেরিঘাটে ভাড়ার রসিদ ও মাঝিদের অতিরিক্ত টাকার দাবি নিয়ে মাঝিদের সঙ্গে বচসা হয়। হেনস্তার শিকার হন তাঁরা। মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান চিকিৎসক। এরপরই নড়েচড়ে বসে মহকুমা প্রশাসন। মহকুমা শাসক কালনা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। কালনা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের এক প্রতিনিধি দল শুক্রবার ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। দ্রুত গাড়ি পারাপারের রসিদ দেওয়ার ব্যবস্থা এবং মাঝিদের অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টিও দেখার নির্দেশ দেন।
কালনা এআরটিও সৌমেন নন্দী বলেন, মহকুমা শাসকের নির্দেশে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা এক সপ্তাহের মধ্যে রসিদ দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন ও মাঝিদের টাকা নেওয়ার বিষয়টি কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে মীমাংসা করবেন বলে জানিয়েছেন।
ফেরিঘাটের ম্যানেজার জয়গোপাল ভট্টাচার্য বলেন, গাড়ি পারাপারের রসিদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। নতুন রসিদের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মাঝিদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় চলছে।অভিযোগকারী চিকিৎসক বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, মহকুমা শাসকের দ্রুত পদক্ষেপের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আশা করব ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।