বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
রান্নার জন্য গ্যাস, গাড়ির পেট্রল, ডিজেল, বিভিন্ন ধরনের ভোজ্য তেল, সাবান ও ডিটারজেন্টের মতো জরুরি পণ্য আমজনতার কাছে পৌঁছে দিতে ন্যূনতম শ্রমিক, কর্মচারী দিয়ে হলদিয়ার কয়েকটি কারখানা চালু রয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলবাবু বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা মোকাবিলায় সমস্ত শ্রমিককে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজার এবং হ্যান্ডওয়াশ দিতে হবে। কারখানায় কাজের সময়ে যাতে দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করেন, সেজন্য নজর রাখতে হবে। কারখানাগুলিতে ভিনরাজ্য বা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অহরহ ট্রাক ও ট্যাঙ্কার ঢুকছে। সেক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি।
তিনি বলেন, কর্মস্থলে কোনও শ্রমিকের জ্বর, সর্দি, কাশির কোনও উপসর্গ দেখা দিলে পুরসভা বা হাসপাতালে খবর দিতে হবে। কারণ, কারখানার শ্রমিক, কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এমনকী, কারখানায় নিয়মিত কাজে আসার জন্য তাঁদের বিভিন্ন বাধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আইএনটিটিইউসির জেলার কার্যকরী সভাপতি বলেন, লকডাউনের জন্য সিংহভাগ কারখানা শাটডাউন করা হয়েছে বা কারখানা চালু থাকলেও বেশিরভাগ শ্রমিককে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমদপ্তরের ঘোষণা মতো শ্রমিক, কর্মচারীদের পুরো বেতন বা মজুরি দিতে হবে বলে বৈঠকে শিল্পসংস্থাগুলিকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার থেকে হলদিয়া পুরসভা ও দমকলের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি এবং সরকারি অফিস, মহকুমা হাসপাতালে স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে। হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল নারায়ণচন্দ্র প্রামাণিক বলেন, এদিন ১ নম্বর থেকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি, রাস্তা, নর্দমা সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইড বা লিক্যুইড ব্লিচ সলিউশন দিয়ে স্যানিটাইজড করা হয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা দায়সারাভাবে এই কাজ করছে। বেশিরভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররা জানেন না কবে তাঁর ওয়ার্ডে স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হবে।