ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
এদিকে হলদিয়া পুরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাচকে সরকারি আবাসনের এক আবাসিক দম্পতি এগরার সেই বিয়ে বাড়িতে অংশ নেওয়ায় আবাসনের অন্যান্য আবাসিকরা তাঁদের কোয়ার্টার ছাড়তে নির্দেশ দেন। এনিয়ে ব্যাপক ঝামেলা হয়। দুর্গাচক থানার পুলিসকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। মহকুমা হাসপাতালের ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয় ওই দম্পতিকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর পুলিসি সুরক্ষায় তাঁদের আবাসনে আনা হয়েছে। এই মুহূর্তে ওই দম্পতি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। পুলিস মাঝেমধ্যে সেখানে যাচ্ছে।
এই মুহূর্তে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশনে মোট চারজন ভর্তি আছেন। তার মধ্যে দু’জনের নমুনা শনিবার পাঠানো হয়েছিল। রবিবার আরও দু’জন নতুন করে ভর্তি হন। এরমধ্যে একজন হলদিয়ার একটি কারখানার কর্মী এবং একজন বিদ্যুৎকর্মী আছেন বলে জানা গিয়েছে।
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই মুহূর্তে ৬৩হাজার ৬৯২জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা ৩৬হাজার ৭৯৩জন। এঁদের মধ্যে অন্য রাজ্য থেকে ফিরেছেন ৩৫হাজার ৯৮১জন এবং অন্য দেশ থেকে ফিরে এসেছেন ৮১২জন।
একইভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২৬হাজার ৮৯৯জন। তার মধ্যে অন্য রাজ্য থেকে ফিরে এসেছেন ২৬হাজার ১৬৩জন। জেলাজুড়ে মোট ৭৮টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছে। রবিবার জেলা থেকে আরও তিনজনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। যদিও রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে কোনও নমুনা পাঠানো হয়নি। এদিন এগরায় করোনা আক্রান্ত দু’জনকে বিশেষ সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে দিয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের সিএমওএইচ গিরিশচন্দ্র বেরা প্রতিটি ব্লকের বিএমওএইচদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। হোম কোয়ারেন্টাইন ভেঙে যাতে কেউ বাড়ির বাইরে বের না হয়, তা নিশ্চিত করতে গ্রামস্তরে আশাকর্মী থেকে স্বাস্থ্যকর্মী প্রত্যেককে আরও সতর্ক হতে হবে বলে নির্দেশ দেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের সিএমওএইচ নিতাইচন্দ্র মণ্ডল এদিন সকালে এগরায় যান। তাঁর উপস্থিতিতে এগরায় দু’জন করোনা আক্রান্তকে বেলেঘাটায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে জ্বর, শ্বাসকষ্ট উপসর্গ থাকা রোগীদের হাসপাতাল থেকে রেফার করার প্রবণতা বেড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। কোলাঘাটের সিদ্ধা-২গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কাঁটাবনী গ্রামের ১৭বছরের কিশোর শেখ সঞ্জুর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট রয়েছে। ওড়িশা থেকে দিনকয়েক আগে সে বাড়ি ফিরেছে। শুক্রবার তাকে প্রথমে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থেকে চিকিৎসক মেদিনীপুর মেডিক্যালে রেফার করে দেন। গাড়ি না পাওয়ায় শেষমেশ তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে। শনিবার তমলুক থেকে তাকে রেফার করা হয় বেলেঘাটা আইডিতে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রাতে ফের নিয়ে যাওয়া হয় পাঁশকুড়ায়। পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটির ডাক্তার তাকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করলে সিএমওএইচ হস্তক্ষেপ করেন। তারপর তাকে ভর্তি নেওয়া হয়।