বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে লাভপুরের বাবুপাড়ায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বাড়ি থেকে বিজেপি নেতা সুপ্রভাত বটব্যালের মেয়ে প্রথমাকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই রাত থেকেই লাভপুরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। শুক্রবার লাভপুরের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ চলে। শনিবার জেলার অবরোধ আরও ছড়িয়ে পড়ে। কীর্ণাহার, নানুরের বিভিন্ন জায়গাতেও অবরোধ ছিল। প্রথমাকে উদ্ধার ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে লাভপুরে সিউড়ি-কাটোয়া রাস্তা অবরোধ করা হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ায় অতিরিক্ত পুলিস সুপার(বোলপুর) সহ পুলিসের শীর্ষ কর্তারা বিশাল বাহিনী নিয়ে লাভপুরে ছিলেন।
এদিন কলকাতা থেকে বোলপুর হয়ে লাভপুর যাচ্ছিলেন লাভপুরের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের মণিরুল ইসলাম। এদিন দুপুরে লাভপুর থানার ইন্দাসের কাছে বড়িপুকুর এলাকায় বিধায়ক তিনটি গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় অবরোধকারীরা তাঁকে আটকায়। বিধায়কের সঙ্গে তাঁর ছেলে মহম্মদ আসিফ ইকবাল এবং চারজন দেহরক্ষী ছিলেন।
বিধায়কের ছেলে বলেন, অবরোধকারীরা বাবাকে সামনে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা বিজেপি আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী আমাদের উপর চড়াও হয়। বাবাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে আমাকে মারতে যায়। গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। সেই সময় নিরাপত্তারক্ষীরা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে কোনওরকমে আমাদের উদ্ধার করেন। এরপর ভাঙা গাড়িতে চড়ে কোনওরকমে আমরা লাভপুর থানায় হাজির হই। বাবা পুলিস অফিসারদের সঙ্গে গোটা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
এরপর বিধায়ক অপহৃতা যুবতীর বাড়ি যাওয়ার গোঁ ধরেন। পুলিসকে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। থানা থেকে বেরিয়ে কিছুটা এগনো মাত্র বিক্ষোভকারীরা তাঁর রাস্তা আটকায়। দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি চলে। তা থেকে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভকারীরা রে রে করে বিধায়ককে তাড়া করে থানা পর্যন্ত এগিয়ে যায়। ফের থানায় আশ্রয় নেন মণিরুল ইসলাম। সেখানে অপহৃত যুবতীর বাবার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন বিধায়ক। সেই সময় থানা ও পুলিসকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি শুরু করে হামলাকারীরা। পাল্টা ইট ছুঁড়ে ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিস। গোটা থানা চত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। সন্ধ্যা নাগাদ পুলিসি প্রহরায় বিধায়ক ওই বিজেপি নেতার বাড়ি যান।
পুলিস সুপার শ্যাম সিং বলেন, বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপহরণ কাণ্ডে আরও দু’জনকে আটক করা হয়েছে। বিধায়ক বলেন, আমার গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। মেয়েটিকে উদ্ধার করার জন্যই আমি অসুস্থ শরীরে ছুটে এসেছি। কিন্তু, আমাকে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। সবটা দেখে মনে হচ্ছে ওরা এনিয়ে রাজনীতি করছে। মেয়েটিকে উদ্ধারের সদিচ্ছা নেই। এদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, কোনও গাড়িতে হামলা চালানো হয়নি। কোনও কর্মীর লাঠির আঘাতে ওটা ভেঙেছে।