হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
শহরের লাইফ লাইন বক্সা ফিডার রোড, শামুকতলা রোড, মায়া টকিজ রোড ও পার্ক রোডের ফুটপাত থেকে কয়েকশ হকারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুসারে ফুটপাত থেকে তুলে দেওয়া হকারদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় পুরসভা। তার জন্য প্রাথমিক উদ্যোগও শুরু করে দিয়েছে পুরসভা। শহরকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে জায়গা চিহ্নিত করার পর হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে।
পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, আমাদের সরকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে। তার জন্যই হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহরে কয়েকটি জোনে হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। তার জন্য জোনগুলিতে জায়গা চিহ্নিত করা হবে।
এদিকে, এদিন পুরসভার ৬ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানায় থাকা একটি হাইড্র্যান্টের উপরে নির্মিত অবৈধ একটি কালভার্ট আর্থমুভার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। অভিযোগ, ওই কালভার্টটি স্থানীয় এক বাসিন্দা তাঁর চলাচলের সুবিধার্থে বানিয়েছিলেন। এদিন আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই অবৈধ কালভার্ট ভেঙে দেন। প্রশাসনের এই অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর ও ভাইস চেয়ারপার্সন মাম্পি অধিকারীও। পরে প্রশাসন ও পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের মায়া টকিজ রোডে রাস্তার ধারে দু’টি অবৈধ ঝুপড়িও ভেঙে দেয়। মহকুমা শাসক এরপর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি এবং আরও কয়েকটি জলাশয়ে অবৈধ নির্মাণ ঘুরে দেখেন।
মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার বলেন, এদিন আরও কয়েকটি জলাশয়ের উপরে অবৈধ নির্মাণ খতিয়ে দেখা হয়েছে। আজ, রবিবার ছুটির দিন। কাল, সোমবার থেকে ফের জলাভূমির উপর গড়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণ ভাঙা শুরু হবে।
এদিকে, ফুটপাত দখলমুক্ত করার সময় কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থায়ী দোকানদারদের শেড ও সাইনবোর্ডও ভাঙা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্বল্প সময়ের নোটিসে শেড ও সাইনবোর্ড সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তার জন্য কিছুটা সময় দেওয়া দরকার ব্যবসায়ীদের। এই দাবিতে ব্যবসায়ীরা মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, আমরা প্রশাসনের ফুটপাত দখলমুক্ত অভিযানের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু ফুটপাত পর্যন্ত থাকা দোকানের শেড ও সাইনবোর্ড সরাতে কিছুটি সময় লাগে। সেই সময়ই চাওয়া হয়েছে প্রশাসনের কাছে।