জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
ধূপগুড়ি থানার অধীন সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ সাঁকোয়াঝোরায় নদীর চরে একটি ফার্ম হাউস তৈরির কাজ করছেন ধূপগুড়ির কয়েকজন ব্যবসায়ী। কিন্তু সেই নির্মাণের ব্যাপারে প্রশাসনের কোনওরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে পুরোপুরি অন্ধকারে। ইতিমধ্যেই মাটি খুঁড়ে একটি বড় জলাশয় তৈরি করা হয়েছে। নদীর গা ঘেঁষে এমনটা করা হলেও সেচদপ্তরের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে জানান দপ্তরের বানারহাটের মহকুমা আধিকারিক গৌরব ভৌমিক। তিনি বলেন, আমার বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।
ফার্ম হাউস তৈরির জন্য রাতের অন্ধকারে ডাম্পারে ওভারলোডিং করে বালি, পাথর নিয়ে যাওয়ায় ডুডুয়া হাসপাতাল থেকে দক্ষিণ সাঁকোয়াঝোরা যাওয়ার কাশিয়াঝাড় নদীর সাঁকো বসে গিয়েছে বলে অভিযোগ, ফটলও ধরেছে সংশ্লিষ্ট রাস্তায়। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁদের যাতায়াতের জন্য একটিমাত্র রাস্তা। বর্তমানে সাঁকো বসে গিয়েছে। সাঁকো ভেঙে গেলে ধূপগুড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে দক্ষিণ সাঁকোয়াঝোরা।
স্থানীয় বাসিন্দা অতুল রায় বলেন, কালুয়া নদীর গতিপথ আটকে প্রথমে একটি জলাশয় তৈরি করা হয়। আমরা বুঝতেই পারিনি কি হচ্ছে। তারপরে জানতে পারি ফার্ম হাউস হবে। আরএক বাসিন্দা নরেশ রায় বলেন, রাতের অন্ধকারে ওভারলোডিং ডাম্পারে করে বোল্ডার নিয়ে আসা হচ্ছে। ফলে জেলা পরিষদের অধীনে একমাত্র রাস্তাটি ক্ষতি হয়েছে। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে তৈরি করা হচ্ছে এটা। স্থানীয় মহিলা ভারতী রায় বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস আর বিজেপি নেতারা একত্রে এই কাজের মদত দিচ্ছে। এর পিছনে সরকারি আমলারও থাকতে পারেন।
সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল চক্রবর্তী বলেন, স্থানীয় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়ায় আমরা অনুমতি দিয়েছি। এখন শুনছি সেখানে ফার্ম হাউস হবে। পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি নেতা বাপি রায় পাল্টা বলেন, ওখানে কোনও নদী নেই। নদী অনেকটা দূরে। লোকজন না জেনেই এসব বলছে।
তৃণমূলের ধূপগুড়ি গ্রামীণ ব্লক সভাপতি মলয় রায় বলেন, দলীয়ভাবে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফার্ম হাউস তৈরির কাজে যুক্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন শুভঙ্কর সাহা। তিনি বলেন, কোনও অবৈধ কাজ করছি না। সমস্তরকম অনুমতি নিয়ে একটি জলাশয় তৈরি করছি।