জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
বেহাত ও দখল হয়ে যাওয়া ঝিল বা জলাভূমি চিহ্নিত করতে দু’বছর আগে পুরসভায় একটি কমিটি তৈরি হয়েছিল। কমিটিতে বিরোধী দলের এক কাউন্সিলারকেও রাখা হয়েছিল। সেই কমিটি দখল হওয়া জলাভূমি চিহ্নিত করে তার রিপোর্টও জমা দিয়েছিল পুরসভায়। রিপোর্ট পেশের পর জলাভূমি দখলদারদের কাছে পুরসভার পক্ষ থেকে নোটিসও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারপর সবকিছু ঠান্ডাঘরে চলে যায়। দখল হওয়া জলাভূমি উদ্ধারে আর কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি বলে নানা মহলে অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, আসলে মানুষকে বোকা বানানোর জন্য ওই লোক দেখানো কমিটি তৈরি করা হয়েছিল।
পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার শান্তনু দেবনাথ বলেন, দখল হওয়া জলাভূমি চিহ্নিত করার ওই কমিটিতে আমিও ছিলাম। জলাভূমি চিহ্নিত করে সেই সময় দখলদারদের নোটিসও দেওয়া হয়েছিল। তারপর কী হয়েছিল আমাদের তা জানানো হয়নি। আসলে মানুষকে বোকা বানানোর জন্য তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা ওই লোক দেখানো কমিটি তৈরি করেছিল।
এদিকে, পরিদর্শনের পর বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, দুর্ভাগ্যের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি পুর এলাকায় বহু বছর ধরে অনেক জলাভূমি বেহাত হয়ে গিয়েছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা চাইছি যে কোনও মূল্যে জলাভূমি রক্ষা করতে হবে। সংরক্ষণ করে অবশিষ্ট জলাভূমিগুলিতে পর্যটন, বিনোদন বা মৎস্য চাষের মতো উন্নয়ন করা যায় কি না, তা দেখতে হবে প্রশাসনকে। বিধায়ক ও পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আমি নিজেও এবিষয়ে বিধানসভায় একটি রিপোর্ট দেব।
জলাভূমিগুলি পরিদর্শনের পর বিধায়ক জেলাশাসককে একটি চিঠিও দিয়েছেন এই উন্নয়নে উদ্যোগী হওয়ার জন্য। যদিও দু’বছর আগে দখল হওয়া জলাভূমি চিহ্নিত হওয়ার পর দখলদারদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল পুর কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে নিশ্চুপ। বিধায়কের এই জলাভূমি পরিদর্শন নিয়ে পুর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর শুধু বলেন, এবিষয়ে বিধায়কের সঙ্গে আমার আগেই কথা হয়েছে। আমরা একসঙ্গে জলাভূমিগুলিতে উন্নয়ন করব। নিজস্ব চিত্র।