জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
মাথাভাঙা শহরের তিনদিকে নদী। মানসাই ও সুটুঙ্গা ঘেরা এই শহরে দীর্ঘদিন ধরে বাঁধ সংলগ্ন নদীর চর এলাকা দখল করার অভিযোগ বিগত বাম আমল থেকেই। তবে তৃণমূলের আমলে সেই প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত কয়েক বছরে সুটুঙ্গা নদীর পাড় সংলগ্ন চর এলাকায় অবৈধভাবে দ্বিতল বাড়ি তৈরির ঘটনাও হয়েছে। অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হওয়ায় পুরসভা কিংবা সেচদপ্তর ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই সেদিকে। দু-একটি এধরনের অবৈধ নির্মাণ নিয়ে শহরে আলোচনা হওয়ার পর লোক দেখানো তদন্ত হয়েছে। বাস্তবে কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি। এনিয়ে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে চরম ক্ষোভ।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, অবৈধভাবে বাঁধের পাড় ও নদীর চর এলাকা দখল করার ঘটনা শুধু আমাদের সময়কালে হয়েছে এমনটা নয়। বিগত বাম আমল থেকে এটা বড় সমস্যা। আমরা এনিয়ে সেচদপ্তর ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এধরনের অবৈধ দখলদারি শহরের জন্য বিপজ্জনক সেটা আমরাও জানি। এখন যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, আমরাও সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব। শহরের সমস্ত অবৈধ নির্মাণ ও দখলদারি হটানো হবে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি মনোজ ঘোষ বলেন, মাথাভাঙা শহরে তৃণমূলের মদতেই একের পর এক বেআইনি দখলের ঘটনা হয়েছে। পুরসভা ও প্রশাসনের আধিকারিকরা এসবে মদত দিয়েছেন। বাঁধের জায়গা দখল করায় ভবিষ্যতে নদীগর্ভে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শহরের এটা মাথায় নেই তৃণমূল নেতা-কাউন্সিলারদের।
মাথাভাঙা সেচদপ্তরের মহকুমা বাস্তুকার শ্রীবাস ঘোষ বলেন, পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাথাভাঙার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সুটুঙ্গার পারবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ নির্মাণ। - নিজস্ব চিত্র।