জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
যদিও ফালাকাটা পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপকুমার মুহুরি বলেন, ফালাকাটা পুরসভার নিজস্ব আর্থমুভার নেই। দখল হটানোর জন্য ব্যবহৃত অন্য গাড়ি না থাকাটা একটা সমস্যা। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক ও পুলিসের সঙ্গে বৈঠকে বসে ফুটপাত দখলমুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের সেই অভিযান লাগাতার চলবে।
ফালাকাটার হাটখোলা, নেতাজি রোড, মাদারি রোড, মিলরোড, ট্রাফিক মোড় থেকে ধূপগুড়ি মোড় পর্যন্ত ফুটপাত দখল হয়েছে বহুদিন আগেই। সেখানে টিনের শেড বানিয়ে দোকানের পসরা সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। এতে ফুটপাত ব্যবহার করতে না পেরে পথচারিদের মূল রাস্তায় নেমে চলাচল করতে হচ্ছে। আবার ফালাকাটার কলেজ পাড়ার নালা সহ, হাতিনালা ও সাপটানার পাড় ভরাট করে গার্ডওয়াল দিয়ে ঘিরে স্ল্যাব তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
শহরের বাসিন্দা লিটন দাস, সন্দীপ ঘোষ, অনিল পালদের অভিযোগ, পুরবোর্ড গঠনের পর থেকে ফালাকাটায় সরকারি জমি, ফুটপাত, নালা দখলের মাত্রা বেড়েছে। এর ফলে মূল রাস্তায় যানজট বেড়েছে। বন্ধ হয়ে পড়ছে নিকাশি নালা। বৃষ্টির জল নিকাশি হতে না পেরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকছে। সাবিত্রী রায়, সঞ্চিতা শর্মা, রিমা সাহাদের মতো শহরবাসীর কথায়, শহরের যত্রতত্র আবর্জনার স্তুপ পড়ে থাকছে। শহরে ডাম্পিংগ্রাউন্ড না থাকায় আবর্জনা ফেলা নিয়েও সমস্যা রয়েছে। মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় শহরবাসী সমস্যায় পড়েছেন। মৃন্ময় রায়, জ্যোতিষ বর্মন, রামচরণ অধিকারীদের মতো নাগরিকদের অভিযোগ, শহরে পানীয় জল পরিষেবা সঠিকভাবে মিলছে না। পুরাতন চৌপথি, নৃপেন মিত্র কলোনি, সুভাষ কলোনি সহ একাধিক জায়গায় জলের পাইপ ফেটে গিয়েছে। প্রচুর জল অপচয় হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আমরা ভেবেছিলাম শহরে নাগরিক পরিষেবার ছবি বদলাবে। কিন্তু রাজ্যজুড়ে সরকারি জমি দখলমুক্ত হলেও আমাদের শহর সেই একই জায়গায় রয়ে গেল।
যদিও পুরসভা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে অভিযানের আশ্বাস দিয়েছে। ফুটপাত দখল করে ব্যবসা। - নিজস্ব চিত্র।