জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ন্যাশন্যাল হেলথ সিস্টেম রিসোর্স সেন্টার গুণগত মান বিচার করে রাজ্যের ১২ টি পাবলিক হেলথ সেন্টারকে ওই সার্টিফিকেট প্রদান করেছে। তার মধ্যে রাজ্যে ৮৮.৩১ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে হুগলি জেলার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। রাজ্যে উত্তরবঙ্গের মানরক্ষা করেছে সাহেব কাছারি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। খবর পেতেই উৎসাহ ছড়িয়ে পড়ে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো আরও ভালো করতে চাইছে পুর কর্তৃপক্ষ।
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর বিপুলকান্তি ঘোষ বলেন, গত মাসে হটাৎ করেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ন্যাশন্যাল হেলথ সিস্টেম রিসোর্স সেন্টারের একটি টিম স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসে। দু’দিন ধরে প্রতিনিধিরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা সহ নানা বিষয় খতিয়ে দেখেন। এরপরেই তাঁরা সাহেব কাছারি পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে সার্টিফিকেট দিলেন। আমরা রাজ্যে অষ্টম ও উত্তরবঙ্গের মধ্যে প্রথম হয়েছি। চেষ্টা করছি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো বৃদ্ধি করার।
পুরসভা সূত্রে খবর, গত ১০ ও ১১ মে ওই টিম পরিদর্শন করে। তারা হাসপাতালে ১২ রকম স্বাস্থ্য পরিষেবার তথ্য নিয়ে যান। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে জমি রয়েছে। সেখানে পরিকাঠামো বৃদ্ধি করতে চাইছে বালুরঘাট পুরসভা। পুরসভার চারটি স্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও আরেকটি খোলা হচ্ছে। শহরের সাহেব কাছারি এলাকার বাসিন্দা স্বপন মহন্ত বলেন, অল্প সমস্যা হলে আমরা হাসপাতালে যাই না। ঘরের কাছেই এই পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নানারকম রক্ত পরীক্ষা সহ সমস্ত পরিষেবা পাই। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র কেন্দ্রের সার্টিফিকেট পাচ্ছে, এটা দারুণ খবর। আরও উন্নত হোক এখানকার পরিষেবা। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের সহযোগিতায় এই পুরো প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হয়েছে উন্নতমানের ল্যাব। সুগার, হিমোগ্লোবিন, ইউরিক অ্যাসিড সহ রক্তের গুরুত্বপূর্ণ সব পরীক্ষা করা হয়। পাশাপাশি মূত্র ও কফও পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। সম্প্রতি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আধুনিক এক্সরে মেশিন বসানো হয়েছে। রয়েছেন পাঁচজন চিকিৎসক, আটজন নার্স। অ্যালোপ্যাথির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সঙ্গে ওষুধও বিনামূল্যে দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২২ জন স্টাফ। প্রতিদিন গড়ে ৬০ জন রোগী সেখানে পরিষেবা নিতে আসেন। নিজস্ব চিত্র