আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী সরব হতেই এদিন জেলা প্রশাসন বেদখল হওয়া সরকারি জমি উদ্ধারে জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যায় বৈঠক ডাকে। ভূমি সহ সমস্ত সরকারি দপ্তরগুলিকে ডাকা হয়। এদিনের বৈঠকে পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশীকেও ডেকে নেওয়া হয়। বৈঠকের পরে জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, ইতিমধ্যেই জবরদখল হওয়া ২৩টি সরকারি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। ড্রোন সার্ভে করে এই জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারি ওই জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে। দখলদারদের ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেই নির্মাণগুলি ভেঙে দেওয়া হবে।
জেলাশাসক আরও বলেন, জেলার শহর ও গ্রামাঞ্চলে আর কোথায় কোথায় সরকারি জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে, তা চিহ্নিত করতে মহকুমা ও ব্লক পর্যায়ে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ওই কমিটিই দখল হওয়া সরকারি জমি চিহ্নিত করবে। তারপরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে।
প্রশাসন জানিয়েছে, জবরদখল হওয়া যে ২৩টি সরকারি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে, তার বেশিরভাগই আলিপুরদুয়ার জেলাশহরে। দখল হওয়া জমির সিংহভাগই পিডব্লুডি’র। কয়েক বছর আগে আলিপুরদুয়ার জেলাশহরে দখল হওয়া সরকারি জমি চিহ্নিত করে উদ্ধার করেছিল ভূমিদপ্তর। উদ্ধার হওয়া জমিতে প্রশাসনের তরফে বোর্ডও লাগিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, প্রশাসনের লাগানো সেই বোর্ড সরিয়ে দিয়ে ফের সেই জমিতে বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে। তার মধ্যে শহরের ঝিলও রয়েছে। প্রশাসনের লাগানো বোর্ড সরিয়ে ঝিলের জমিতে হোটেল, দোকানপাট, বহুতল এমনকী নার্সিংহোম পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। এবিষয়ে জেলাশাসক বলেন, এদেরকে আইনি নোটিস দেওয়া হচ্ছে। দখল হওয়া সরকারি জমি উদ্ধার করে ফের বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে, সাধারণ মানুষ জমির মিউটেশন ও কনভারশন সহ বিভিন্ন কাজে ভূমিদপ্তরে আসে। অভিযোগ, এখানে এসে সাধারণ মানুষ দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে। বিষয়টিতে জেলাশাসক বলেন, সেই দালালচক্র ও ঘুঘুরবাসা ভাঙতে ব্লক ভূমিদপ্তরের অফিসগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে ভূমিদপ্তরের অফিসগুলির কাছে হেল্প ডেস্ক হিসেবে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হবে।
বেআইনি জবরদখল সরাতে জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলাবাসী। আলিপুরদুয়ার গার্জিয়ান ফোরামের সভাপতি জ্যোতির্ময় রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমকের পর জেলা প্রশাসনের এই তৎপরতায় আমরা খুশি।