আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
গেরুয়া শিবিরের দুই নেতার দাবি, পাল্টা দাবিতে রায়গঞ্জ বিধানসভা উপ নির্বাচনের ময়দান এখন সরগরম।
লোকসভা থেকে বিধানসভা উপ নির্বাচন। ধারাবাহিকভাবে দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি। মঙ্গলবার বিশ্বজিৎ বলেন, আমাদের দলীয় প্রার্থী রায়গঞ্জের যেখানেই ভোট প্রচারে যাচ্ছেন, ভোটাররা প্রশ্ন করছেন জিতলে দল পরিবর্তন করবেন না তো। তখন প্রার্থী পকেট থেকে গীতা বের করে ভোটারদের কাছে প্রতিজ্ঞা করছেন দল বদলাবেন না বলে। এই পরিস্থিতিতে উপ নির্বাচনে বিজেপি কতটা ভালো ফল করবে, সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
লোকসভায় ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করার দাবিতে দণ্ডি যাত্রা সহ লাগাতার আন্দোলন করে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন বিশ্বজিৎ। বারবার প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় তাঁকে দল থেকে প্রথমে সাসপেন্ড করার পর বহিষ্কারও করা হয়েছিল। শেষে পিছু হঠে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দাবি মেনে ভূমিপুত্রকে লোকসভায় প্রার্থী করে পদ্ম শিবির। সেসময় বিশ্বজিতের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁকে দলে ফেরান লোকসভার প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ কার্তিক চন্দ্র পাল। এবার বিধানসভা উপ নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থী ও দলের নেতৃত্বের ভূমিকায় সরব তিনি। ইতিমধ্যে বিজেপির দীর্ঘদিনের সদস্য বলরাম চক্রবর্তী ‘নর্থ বেঙ্গল পিপলস পার্টি’র প্রতীকে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। উপ নির্বাচনে তাঁকেই সমর্থন জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ। এবার প্রকাশ্যেই দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় চাপ বাড়ছে জেলা নেতৃত্বের।
মানসের কথায়, গীতা হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ। গীতা সবসময় সঙ্গে থাকতেই পারে। কিন্তু গীতা হাতে নিয়ে শপথ করতে হবে, এরকম পরিস্থিতি কখনও তৈরি হয়নি। পঁচিশ বছর রাজনীতিতে আছি। মানুষ বিশ্বাস করে।
দলের জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বাসুদেব সরকার। অর্থাৎ নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পদ্ম শিবির কার্যত অভিভাবকহীন। তারই মাঝে কোন্দলের পারদ চড়াচ্ছেন বিশ্বজিৎ। যা সামাল দিতে হাবুডুবু খেতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে।