আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
চাপরেরপাড়-১ পঞ্চায়েতের চ্যাংপাড়া মৌজায় প্রায় দু’হাজার পরিবার। চ্যাংপাড়া থেকে একটি রাস্তা পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভারতনগর নিউ শোভাগঞ্জ এলাকায় গিয়ে যুক্ত হয়েছে। ওই রাস্তায় নোনাই নদীর উপর সাঁকো দিয়ে চ্যাংপাড়ার বাসিন্দারা অনায়াসে শহরে যাতায়াত করেন। কিন্তু প্রতি বছর সাঁকো জলের তোড়ে ভেসে যায়। নোনাইয়ে জল বেড়ে যাওয়ায় সাঁকোটি এবারও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। বাসিন্দারা বলছেন, নোনাইয়ে জল বাড়ছে। সাঁকো ভেসে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
এলাকার কাউন্সিলার পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন মাম্পি অধিকারী বলেন, সাঁকোটি পঞ্চায়েত এলাকায় পড়েছে। ফলে পুরসভার পক্ষে সেখানে পাকা সেতু তৈরি সম্ভব নয়। তবে চ্যাংপাড়া এলাকার মানুষের স্বার্থে এখানে পাকা সেতু হওয়া অবশ্যই দরকার।
নোনাইয়ে পাকা সেতু না থাকায় ও বর্ষায় সাঁকো ভেসে গেলে চ্যাংপাড়ার বাসিন্দাদের মাঝেরডাবরী বা চেকো দিয়ে ছয়-সাত মাইল ঘুরে তবে শহরে আসতে হয়। চ্যাংপাড়ার বহু পড়ুয়া জেলা শহরের শান্তিদেবী হাইস্কুলে পড়াশোনা করে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ স্মৃতি প্রাথমিক স্কুলেও চ্যাংপাড়ার প্রচুর শিশু পড়তে আসে। চ্যাংপাড়ার বধূ রশিদা বিবি বলেন, বর্ষায় নোনাইয়ের জলের স্রোতে সাঁকো ভেসে যায়। তখন আমাদের ছেলেমেয়েদের শহরে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়রা বলেন, বহুবার প্রাক্তন সাংসদ জন বারলা ও এলাকার তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য অনুপ দাস পাকা সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ সেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি।
এ ব্যাপারে জানতে প্রাক্তন সাংসদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। মেসেজেরও জবাব দেননি। যদিও বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, প্রাক্তন সাংসদ জন বারলা এখানে পাকা সেতু নির্মাণে এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি। সবটাই আসলে তৃণমূলের অপপ্রচার। এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূলের অনুপ দাস বলেন, লোকসভা ভোটের আগে নোনাইয়ে আমি পাকা সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। পাকা সেতুর জন্য কমপক্ষে ৮০ লক্ষ টাকা দরকার। আমরা ভোটে হেরে গেলেও চেষ্টা করব।