আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
প্রায় ৩০ বছর ধরে এই সমবায় সমিতির কোনও ভোট হয়নি। আদালতের নির্দেশে রবিবার নির্বাচন হয়েছে। সেখানকার ছ’টি আসনে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যার মধ্যে বামফ্রন্ট সমর্থিত সমবায় বাঁচাও কমিটির পাঁচটি, কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোট ছয়টি আসনে, দুটি আসনে নির্দল প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। খসবরটোলা হাইস্কুলে হয় ভোট গ্রহণ। মোট ৭১৫ জন ভোটারের ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল দশটায়। চলে বিকেল পর্যন্ত। বিকেলের পর শুরু হয় ভোট গণনা। সন্ধ্যায় ভোটের ফল বেরনোর পর দেখা যায়, ছ’টি আসনেই যৌথভাবে দখল করেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিপিএম। তবে সমবায় সমিতির ভোটে বামেদের সঙ্গে জোট না করে কংগ্রেস কেন তৃণমূলের সঙ্গে জোট করল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। কারণ, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ মালদহে কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে নেমেছিলেন বামফ্রন্টের নেতা ও কর্মীরা।
এই ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের কেন জোট হল না? এবিষয়ে সিটু’র জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের অনীহার কারণে আমাদের সঙ্গে জোট সম্ভব হয়নি। তারা সমবায় সমিতিতে দুর্নীতি চালাবে বলে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তবে আমরা একা লড়াই করে প্রায় ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছি।
অন্যদিকে বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে আমরা নির্বাচনে জিতেছি। এতদিন নির্বাচন না হওয়ায় সমবায় সমিতিতে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, তাদের খুঁজে বের করব। তৃণমূল স্বীকার করলেও কংগ্রেস জোট তত্ত্ব অস্বীকার করেছে। ভূতনির কংগ্রেস নেতা কাউসার আলি বলেন,এখানে কেউ রাজনৈতিক দলের প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। অযথা জোটের কথা বলা হচ্ছে। সমবায়ে জয়ীরা। নিজস্ব চিত্র