ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
দিনহাটা মহকুমা হাসপাতাল সুপার ডাঃ রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, সোমবার রাতে পাঁচটি ওটি হয়েছে। রোগীদের ভুল বুঝিয়ে যাতে অন্যত্র কেউ নিয়ে যেতে না পারে তারজন্য কড়াকড়ি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, গরিব মানুষ যাতে হাসপাতালের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য বারবার সোচ্চার হব।
শুক্রবার অসুস্থ হওয়াতে বামনহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় এক গর্ভবতীকে। তাঁকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে রেফার করেন বামনহাটের চিকিৎসক। রাতে দিনহাটা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ওই রোগীকে। রাতের বেলা সিজার হবে না হাসপাতালে। তাই মহিলাকে রেফার করা হয় কোচবিহার মেডিক্যালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দিনহাটা শহরেই একটি নার্সিংহোমে রোগীকে ভর্তি করে পরিবার। রাতেই এক চিকিৎসক সিজার করেন সেখানে।
সরকারি হাসপাতাল থেকে বারবার রেফারের ঘটনা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে জানায় ওই পরিবার। নিজের এলাকায় এইরকম ঘটনায় ক্ষুব্ধ মন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট করেন। রেফারের ঘটনায় বিরক্ত হয়ে মন্ত্রী চিকিৎসকদের ‘দাওয়াই’ দেওয়ার কথা বলেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন— দিনহাটায় কিছু ডাক্তার আবার ডাকাতি শুরু করেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে সিজার করার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। তবে জরুরিকালীন অবস্থায় অপারেশন থিয়েটার রাতেও খোলা হয়। সোমবার রাত থেকে অপারেশন থিয়েটারে সবসময় চিকিৎসক থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাঁচটি অপারেশন হয়েছে ওই রাতে। বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের কেউ যাতে রোগীদের ভুল বুঝিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য হাসপাতালজুড়ে নজরদারি বাড়াচ্ছে কর্তৃপক্ষ।