ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
গত বছর গুয়াহাটিগামী বিকানির এক্সপ্রেস ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল দোমোহনির মৌয়ামারিতে। টর্চ জ্বালিয়ে স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধারকাজে নেমেছিলেন। অন্ধাকারে চারদিক থেকে ভেসে এসেছিল কান্নার রোল। ধীরে ধীরে প্রশাসনিক আধিকারিকদের গাড়িতে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিল গোটা এলাকা। পরের দিন থেকে বিভিন্ন এলাকার লোকজন আসতে শুরু করেছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটি দেখতে। রেল ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনের বগিগুলিকে তুলে নিয়ে গেলেও এখনও কিছু যন্ত্রাংশ লাইনের ধারে খেতে পড়ে আছে।
শুক্রবার রাতে বালেশ্বরের বাহানাগা বাজারের কাছে যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা মনে করে দিয়েছে মৌয়ামারির ট্রেন দুর্ঘটনার কথা। বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনায় ময়নাগুড়ির যুবক তরুণ রায়ের মৃত্যু যেন সেই রাতের কথা ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছে মৌয়ামারির বাসিন্দা হাসান আলি, মোস্তাক আলিদের।
মোস্তাক বলেন, দুর্ঘটনার দিন বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎই বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি, সামনের বগিগুলি ছিটকে পড়ল। সে কী ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য বলে বোঝাতে পারব না। ওই স্মৃতি মন থেকে মুছে ফেলতে চাইছিলাম। কিন্তু, বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনা সেই স্মৃতি ফের টাটকা করে দিল। শুধু তাই নয়, শুক্রবারের ওই দুর্ঘটনায় ময়নাগুড়ির ৩০ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এক বছর আগের ঘটনা টাটকা হাসানের স্মৃতিতে। তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর জমি থেকে গোরু নিয়ে বাড়ির এনে রাখি। হঠাৎই বিকট শব্দ চমকে উঠি। ঘর থেকে বের হওয়ার আগেই চিৎকার চেঁচামেচি আর কান্নার আওয়াজ কানে আসে। দৌড়ে গিয়ে কয়েকজনকে ট্রেনের কামরা থেকে বাইরে বের করে আনি। ফের একটি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটল, এবার ওড়িশায়। ময়নাগুড়ির তরুণ রায়ের মৃত্যু হয়েছে। মৌয়ামারি থেকে রেল তাদের দুর্ঘটনাগ্রস্ত সম্পত্তিগুলি ধাপে ধাপে নিয়ে যাওয়ায় সেই রাতের স্মৃতি এলাকাবাসীর মন থেকে মুছে যাচ্ছিল। কিন্তু, ফের একটি ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটল। দু’দিন ধরে রাতে ভালোভাবে ঘুমোতে পারছি না। কানে ভেসে আসছে স্বজন হারানোর আর্তনাদ।