ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
হুদা আলমের দাঁতের পাটি ভেঙে গিয়েছে। গালে অনেকগুলি সেলাই পড়েছে। তাই তিনি বেশি কথা বলতে পারছেন না। তবুও তিনি মোবাইলে বলেন, এখন অনেক সুস্থ আছি। এখানে কোনও কিছুর অসুবিধা হচ্ছে না। আব্দুল রেজ্জাক বলেন, আমার কপালে, হাতে ও একটি আঙুলে সেলাই পড়েছে। এখন মোটামুটি সুস্থ আছি। আমার সিটিস্ক্যান করতে হবে। তা এখনও হয়নি।
রেজ্জাক সেদিনের ভয়ঙ্কর স্মৃতির কথাও শোনালেন। তিনি বলেন, আমরা চার জন এক সিটেই বসেছিলাম। হঠাৎ ট্রেনটি জোড়ে শব্দ করে কেঁপে উঠল। বগির মধ্যেই পড়ে গিয়ে চোট পাই। বগি উল্টে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে গোটা বগি অন্ধকার ছিল। সেসময় কে কোথায় আছে দেখতে পাচ্ছিলাম না। দুর্ঘটনায় জানালা ভেঙে গিয়েছিল। সেখান দিয়ে কোনওরকমে বের হয়ে বগির উপরে উঠি। সেখান থেকে লাফ দিয়ে নীচে নামি। কিছুক্ষণ করে সাহাদাতকে পাই। পরে আমরা দু’জনে বাকি দুজনের খোঁজ করি এবং পেয়ে যাই। তারপর চার জন একটু ফাঁকা জায়গায় বসি। চারদিকে শুধু আর্তনাদ ও আতঙ্কের ছায়া। এরমধ্যেই পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে লোকজন ছুটে আসে। তারা আমাদের জল খেতে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিস, অ্যাম্বুলেন্স আসে। তারা আমাদেরকে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেদিন ওই হাসপাতালেই ছিলাম। আমার ও হুদার জখম গুরুতর থাকায় আমাদের কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। সাহাদাত ও মিরাজুল সামান্য জখম ছিল। তাদেরকে রাজ্যে পাঠিয়ে দিয়েছে।
এদিকে সুস্থতার খবরে চোপড়ায় পরিবার পরিজনদের উদ্বেগ কিছুটা কমেছে। কিন্তু সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। প্রায় বছর খানেক থেকে বাড়ির বাইরে শ্রমিকের কাজে ছিল ঘরের ছেলেরা। এবার ফেরার পথে এমন দুর্ঘটনায় উৎকণ্ঠা এখনও কাটেনি। ঘরের ছেলে কবে ঘরে ফিরে আসবে সেই আশায় দিন গুণছেন রেজ্জাকের বাবা মজিবুল হক, সাহাদাতের মা কালোনেছা সহ গোটা চোপড়ার বাসিন্দারা।