ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা বলেন, রাজ্য থেকে নির্দেশ এসেছে। তাদের তরফে থেকে স্কুলওয়াড়ি পড়ুয়া ও শিক্ষকদের অনুপাতের সামঞ্জস্য কী রয়েছে তার তথ্যপঞ্জি তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সেইমতো তা তৈরির কাজ শুরু করেছি। তাতে দেখা যাচ্ছে বহু স্কুলে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের অনুপাতের কোনও সামঞ্জস্য নেই। তথ্য সংগ্রহ শেষ হলে স্কুলে স্কুলে পড়ুয়া ও শিক্ষকের সংখ্যার অনুপাতে সামঞ্জস্য আনতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করা হবে। এতে পঠনপাঠনের মান অনেক উন্নত হবে।
তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি সুকলাল হাঁসদা বলেন, আমাদের জেলার বহু স্কুল রয়েছে যেখানে পড়ুয়া কম শিক্ষক বেশি। এমনকী দেখা গিয়েছে ৩০’র কম পড়ুয়া কিন্তু শিক্ষক সেখানে ছয়-সাত জন রয়েছেন। আবার বহু স্কুলে ১০০-১৫০ জন পড়ুয়া কিন্তু শিক্ষক রয়েছেন দু’তিন জন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ যদি পড়ুয়া শিক্ষকদের অনুপাতের সামঞ্জস্য ঠিক করে তবে পঠনপাঠন অনেক উন্নত হবে। পড়ুয়ারা উপকৃত হবে। অন্যদিকে বদলি হলে শিক্ষকরাও উপকৃত হবেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে ১৩০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রত্যেক অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক স্কুলগুলি থেকে প্রত্যেক মাসে পড়ুয়াদের তথ্য সংগ্রহ করছেন। এই তথ্য আরও কয়েক মাস সংগ্রহ করা হবে। তথ্য সংগ্রহ শেষ হলে শিক্ষক কোন স্কুলে কম রয়েছে তার তালিকা তৈরি করা হবে। যে স্কুলে বেশি শিক্ষক রয়েছে তার তালিকাও তৈরি করা হবে। এরপরেই যে স্কুলে শিক্ষক বেশি রয়েছে সেখান থেকে বদলি করে কম পড়ুয়া স্কুলে পাঠানো হবে। এই প্রক্রিয়া আগামী দুই মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।