সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুয়ো হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে অনেককে মেসেজ করে টাকা চাওয়া হয়েছে। একটি ই-কমার্স সংস্থার গিফট কার্ড, অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলা হয়। কেউ টাকা পাঠিয়েছে কি না সে বিষয়ে অবশ্য এখনও জানা যায়নি। বাসিন্দারা বলছেন, প্রায় এক বছর আগে সপ্তর্ষি নাগ ইসলামপুরের মহকুমা শাসক থাকাকালীন তাঁর নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে টাকা চাওয়ার ঘটনা সামনে এসেছিল। এ নিয়ে প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। পুলিসের কাছে এনিয়ে অভিযোগও দায়ের হয়।
এরপর পুরসভা ভোটের কয়েকমাস আগে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের অফিসিয়াল লেটার হেড প্যাডে ইসলামপুর পুরভোটের ১৭ জন প্রার্থীর ভুয়ো তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। একের পর এক সাইবার ক্রাইমের ঘটনা সামনে আসছে। সাইবার দুনিয়ার অপরাধীরা কোনও ব্যাঙ্ক থেকে টাকা উধাও করে দিচ্ছে, কখনও বা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে টাকা চাইছে। কখনও বা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভাইরাল করছে। যা বর্তমান সময়ে পুলিস ও প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পুলিসের সাইবার সেল অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারছে। কিন্তু জেলার প্রধান প্রশাসনিক কর্তার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় সাধারণ মানুষ খুব সহজেই অনলাইন জালিয়াতির শিকার হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে। বাসিন্দাদের দাবি, সাইবার অপরাধীদের ধরতে পুলিসের আরও পরিকাঠামো উন্নয়ন করা প্রয়োজন। সাধারণ মানুষ যাতে এই চক্রের শিকার না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত সচেতনতা প্রচারের বিষয়ে কর্মসূচি নেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সাইবার প্রতারকরা মানুষের টাকা হাতিয়ে নিতে নিত্য নতুন পন্থা অবলম্বন করে। কোনও পন্থা নিয়ে মানুষ সচেতন হলেই অন্য পথ বেছে নেয়। কিছু ক্ষেত্রে তারা মানুষের টাকা হাতাতে সফল হয়। জেলা প্রশাসনের আধিকারিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কেউই তাদের টার্গেটের বাইরে নয়। তাই সতর্কতাই এই অসাধু চক্রকে রুখে দিতে পারে।