সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
জেলার হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন সদ্য শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। সাহাপুর এফপি প্রাথমিক স্কুলটি তাঁর বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই অবস্থিত। এই প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা গৌরী সরকার বলেন, এই স্কুল থেকেই আমরা পড়াশুনা করেছি। স্কুলের পাশেই বাড়ি আমাদের। একসময় এই প্রথামিক বিদ্যালয়ে এলাকার বহু ছেলে মেয়েই পড়াশুনা করেছে। কিন্তু কয়েক বছর হল স্কুলটি কার্যত বন্ধের মুখে। বর্তমানে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন। তবুও তিনি ঠিকমতো স্কুলে আসেন না। একপ্রকার পরিত্যক্ত এই স্কুলে কে, তার বাচ্চাকে পড়তে পাঠাবে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাইমারি স্কুল এডুকেশনের সচিব দীপক ভক্ত বলেন, আমরা শিক্ষাদপ্তরের কাছে একটি চিঠি লিখছি। শিক্ষাদপ্তরের অনুমতি পাওয়া গেলেই ওই পড়ুয়াকে এবং শিক্ষককে পাশের অন্য কোনও স্কুলে স্থানান্তরিত করা হবে। যাতে ওই পড়ুয়ার অন্তত মিড ডে মিলটা চালু করা যায়। তবে শিক্ষাদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কোনওটাই সম্ভব নয়।
মধুরিমা রায় নামে একজন ছাত্রী চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশুনা করছে। মাস খানেক আগেও দু’জন পড়ুয়া ছিল। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, স্কুলে শিক্ষকদের নিয়মিত আসা যাওয়া থাকলে অন্তত ১ কিলোমিটার দূরে একম্বা সাহাপুর প্রাইমারি স্কুলে তাঁরা বাচ্চাদের পাঠাতেন না। একই সংসদে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একম্বা সাহাপুর প্রাইমারি স্কুল ৭০ থেকে ৮০ জন্য ছাত্র ছাত্রীদের জন্যে মিড ডে মিলের রান্না খাবার মিলছে। পঠনপাঠন চলছে। ওই স্কুলে চার জন শিক্ষক আছেন।
রায়গঞ্জ উত্তর সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক কল্যাণী ওঁরাও বলেন, স্কুলে ছাত্রছাত্রী নেই, একজন শিক্ষক। পড়াশুনার পরিবেশ নেই। ডি আই’কে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। এই চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না। শিক্ষকের অনিয়মিত আসার ব্যপারটি দেখা হবে। নিজস্ব চিত্র