বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
এসটিএফের উত্তরবঙ্গে ডিএসপি সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই রাতে গাঁজা পাচারের বিরুদ্ধে ফুলবাড়িতে জাতীয় সড়কে তল্লাশি অভিযানে নামে এসটিএফ। তাদের সঙ্গে এনজেপি থানার পুলিস ছিল। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলবাড়িতে বাস ও লরি সহ বিভিন্ন যানবাহন দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। তখন লরি ও বাসের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা দিল্লির নম্বরের একটি গাড়ি থেকে আচমকা তিনজন নেমে দৌড় দেয়। পিছু ধাওয়া করে সনু ও সঞ্জয়কে ধরা হয়। তখন ধৃতদের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ একলক্ষ টাকা, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড, সোয়াইপ মেশিন উদ্ধার করা হয়।
এসটিএফের অফিসাররা বলেন, গাঁজা পাচারের খবর মেলায় নাকা তল্লাশি অভিযানে নামা হয়েছিল। তখন ধৃতরা পুলিসকে দেখে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে। পিছু ধাওয়া করে তাদের ধরা হয়। তারা অসম থেকে এখানে এসেছে। কামাক্ষ্যা মন্দিরে তারা পুজো দিতে গিয়েছিল বলে জানায়। কিন্তু তাদের গাড়িতে পুজোর ফুল বা প্রসাদ কিছুই ছিল না। বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকার উৎসস্থল জানাতে পারেনি। ওই নোট সংক্রান্ত বৈধ নথিও দেখাতে পারেনি। বিপুল সংখ্যক এটিএম কার্ড ও সোয়াইপ মেশিন সম্পর্কেও তারা স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি। ধৃতরা নিজেদেরকে ড্রাইভার ও দিনমজুর পরিচয় দিলেও তাদের কথায় অনেক অসঙ্গতি মিলেছে। পুলিস দেখে পালানোর কারণও ধৃতরা জানাতে পারেনি।
এসটিএফের অফিসাররা বলেন, ঝাড়খণ্ডের জামতারা গ্যাংয়ের সদস্যরা মাঝেমধ্যেই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, পুলিস ও সেনাবাহিনীর অফিসার কিংবা সরকারি কোনও দপ্তরের নাম করে সাধারণ মানুষের মোবাইলে ফোন করে। বিভিন্নরকম কথার জালে ফাঁসিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কিংবা এটিএম কার্ডের নম্বর হাতিয়ে নেয়। এরপর অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব করা হয় সঞ্চিত টাকা। সম্ভবত সেই কায়দাতে ধৃতরা সাইবার ক্রাইম সংগঠিত করত।
শুক্রবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি সিজেএম আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে ধৃতদের পুলিস হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এসটিএফের ডিএসপি বলেন, গাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্তের নাম রাজেশ কুমার। তার খোঁজ চলছে।