বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছরের শুরু থেকেই ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি চালু করে বিভিন্ন জেলাজুড়ে এলাকাভিত্তিক সমস্যাগুলি জানার উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। সেই কর্মসূচির মাধ্যমে মালদহ জেলা প্রশাসন জেনে যায়, সার্বিকভাবে জেলার কোথায় কোথায় কী ধরনের সমস্যা রয়েছে। তালিকা হাতে পেতেই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শুরু হয়ে যায় সমস্যাগুলি মিটিয়ে ফেলার কাজ।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরী বলেন, এখনও পর্যন্ত ৪৪৯টি সমস্যা আমাদের নজরে এসেছে। ১৫৬টি সমস্যা ইতিমধ্যেই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। ২৫৬টি ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে প্রায় ৩০টি ক্ষেত্রে সমস্যা মেটাতে কিছু জটিল সমস্যা রয়েছে। সেগুলি আবারও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মূলত রাস্তাঘাট তৈরি, নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও আলোর দাবি জানিয়েই বেশিরভাগ আবেদন জমা পড়েছে। সমস্যা সমাধানের কাজ পরিদর্শন করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ডিভিশনাল কমিশনার সৈয়দ আহমেদ বাবা সম্প্রতি এই সমাধানের কাজ নিজেই পরিদর্শন করেছেন।
সদর মহকুমার ইংলিশবাজার ব্লকের বিনোদপুর গ্রাম পঞায়েতে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করে শুরু হয়েছে পাকা নর্দমা তৈরির কাজ। দীর্ঘদিন ধরে সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থার অভাবে বর্ষাকালে ওই এলাকার প্রচুর মানুষ সমস্যায় পড়তেন। নর্দমা তৈরি শেষ হলে সমস্যা মিটবে বলে আশাবাদী তাঁরা।
একইভাবে ইংলিশবাজারের অমৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়পুকুর এলাকায় রাস্তা নির্মাণের জন্য ৪৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। রাজ্য সরকারের অনুমোদনও এসে গিয়েছে।
চাঁচল-১ ব্লকের চাঁচল গ্রামপঞ্চায়েতের তাণ্ডেলপাড়া এলাকায় একটি রাস্তা ও নর্দমা নির্মাণের আবেদন জানিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সমস্যা কাটাতে ৩৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
আবার চাঁচল-২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত একটি জায়গায় রাস্তা না থাকায় চরম সমস্যায় ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচিতে আবেদন জানাতেই বরাদ্দ হয়েছে চার লক্ষ টাকা। সেখানে তৈরি হবে ২০০ মিটার কংক্রিট রাস্তা। ১০০ দিনের কাজ, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্প কাজে লাগিয়েই দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন।
তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র সুমালা আগরওয়ালা বলেন, রাজ্য সরকারের এই অভূতপূর্ব তৎপরতায় খুশি সাধারণ নাগরিকরা। তাঁরা বুঝেছেন, বছরের পর বছর ধরে যে সমস্যা রয়ে গিয়েছিল তা মেটাতে রাজ্য সরকার ও প্রশাসন কতটা আন্তরিক। অন্যদিকে, জেলা বিজেপির সহ সভাপতি তথা মুখপাত্র অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই সক্রিয়তা হল সরকার বাঁচানোর হাস্যকর চেষ্টা। যে সমস্যা ১০ দিনে মেটানো যায় তা ১০ বছর ধরে ফেলে রাখা হয়েছিল কেন, আগে তার কৈফিয়ত দিক তৃণমূল।