বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
এদিন সকালে মডেল ভিলেজের কাছে গোরুমারা জঙ্গলের মধ্যে টহল দেওয়ার সময়ে বনকর্মীরা একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী বাইসন পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা লক্ষ করেন বাইসনটির শরীরের পিছনের দিকের মাংস নেই। বনকর্মীরা তাঁদের দপ্তরে এবং পুলিসকে খবর দেন। নাগরাকাটার থানার ওসি নৈমুদ্দিন শেখ, ডায়নার রেঞ্জার প্রণব দাস ও গোরুমারার রেঞ্জার অয়ন চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে চলে আসেন। পরে স্নিফার ডাগ নিয়ে আসা হয়। অরল্যান্ডো মৃত বাইসনের কাছ প্রথমে যায়। পরে সেখান থেকে ছুটে যায় মডেল ভিলেজের একটি বাড়ির সামনে। বনকর্মীরা এলাকার কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে তাঁরা গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেন। বনকর্মীরা ওই এলাকার লোকেদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করেছেন।
গোরুমারার রেঞ্জার বলেন, বাইসনটির মৃতদেহ দেখে এটা পরিষ্কার সেটির মাংস কেউ কেটে নিয়ে গিয়েছে। আমরা স্নিফার ডগ অরল্যান্ডোকে নিয়ে এসে এদিনই তদন্ত শুরু করি। যারাই এমন ঘটনায় জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওদলাবাড়ির পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের কর্মকর্তারা বলেন, এসব ব্যাপারে বন সংলগ্ন মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন করতে হবে। আমরাও এসব নিয়ে প্রচার করব।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন যে বাড়ির সামনে স্নিফার ডগটি গিয়েছিল সেই বাড়িতে পুরুষ মানুষ কেউ থাকে না। বনকর্মীদের অনুমান, ওই বাড়িতেই কয়েকজন মিলে বাইসনের মাংস রান্না করে খেয়েছিল। এদিন বনকর্মীরা গ্রামের কোনও লোককে গ্রেপ্তার না করলেও গ্রামের লোকেদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগে বরদিঘি চা বাগানেও একইভাবে বাইসনের মাংস খাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কয়েকজন বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। কয়েক বছর আগে মেটেলির ইংডং চা বাগান ও ধূপগুড়ির পলাশবাড়ি চা বাগানেও বাইসন মেরে মাংস খাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।