বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, এখনও লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখব। এছাড়াও অবৈধ কাজ রুখতে অভিযান চালানো হবে। জেলা সেচদপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন বিশ্বাস বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সেতুর ২০০ মিটার আপ এবং ডাউনে মাটি কাটা যাবে না। সেতুর উভয় পাশে একই নিয়ম কার্যকর রয়েছে। এছাড়াও রাস্তা বরাবর তো মাটি কাটা আরও যাবে না। নিয়ম না মেনে মাটি কাটলে বন্যায় ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। তবে সেখানকার বিষয়টি চোখ দিয়ে দেখলে ভালো বলা যাবে।
এবিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বর্ষাকাল পার হতেই নদীতে চড় পড়ে গিয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু কারবারি অবৈধভাবে বালি তুলছে ও মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের এই ব্যাপারে কোনও নজর নেই। এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জড়িত রয়েছে। এভাবে রাস্তা বরাবর যদি মাটি কেটে নিয়ে গেলে আগামীতে সেতু দিয়ে চলাফেরা করা যাবে না। তাই আমরা এবিষয়ে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক বাসিন্দা বলেন, শুধু মাটি কাটা নয়, সেতুতে ওঠার রাস্তাতেও বেআইনিভাবে বিভিন্ন রকম নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হচ্ছে। ফলে রাতের অন্ধকারে অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে।
পূর্তদপ্তর জানিয়েছে, পাঁচ বছর আগে বালুরঘাট ব্লকের পাগলিগঞ্জে আত্রেয়ী নদীর উপর সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়। ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দে এই সেতুর কাজ বছর খানেক আগে শেষ হয়েছে। সরকারি ভাবে এখনও সেতুর উদ্বোধন না হলেও বছরখানেক ধরেই যাতায়াত শুরু হয়েছে। মূলত এই সেতুর মাধ্যমেই পাগলিগঞ্জ ও খাসপুর সহ কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। বোয়ালদার ও বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু গ্রামের মানুষ এই সেতু দিয়ে অতি সহজে বালুরঘাট শহরে যাতায়াত করেন। এদিকে সেই সেতুর রাস্তা ও পিলার সংলগ্ন ২০০ মিটারের মধ্যেই অবৈধ খনন চলায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় এক মাস ধরে চলছে এই বালি ও পলি মাটি তোলার কাজ। ভোর রাত থেকেই ট্রাক্টরে করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই কাজ শুরু করে। সেতুতে প্রবেশের জন্য খাসপুর থেকে উঁচু করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। সেই রাস্তার ধার বরাবর পলি মাটি তোলা হচ্ছে। এদিকে প্রতিবারই বন্যার সময় জল বেড়ে গেলে এই জায়গাগুলি প্লাবিত হয়। যার ফলে ভবিষ্যতে এই সেতুর ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।