বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, এদিন কালিয়াচকের আলিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের করারি চাঁদপুর এলাকায় গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালায় এসটিএফ ও পুলিস। একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ছাড়াও বেশ কয়েকটি নির্মিত ও অর্ধ নির্মিত আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন ইত্যাদি পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দু’জনই বিহারের মুঙ্গের জেলার বাসিন্দা। তবে ওই বাড়িটির মালিক পলাতক। তার খোঁজ চালানো হচ্ছে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই ধরনের বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানা নজরে আসার বিষয়টি ভাবাচ্ছে জেলার পুলিস কর্তাদের। নির্বাচনের সময় অস্থিরতা তৈরি করার লক্ষ্যে দুষ্কৃতীদের কাছে ওই অস্ত্রগুলি চড়া দামে বিক্রি করার ছক ছিল বলে অনুমান পুলিস আধিকারিকদের। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলি সেভেন এম এম বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী পুলিস আধিকারিকরা। অপরাধীদের মধ্যে এই ধরনের অস্ত্রের চাহিদা অত্যন্ত বেশি বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিন সকাল ১০টা থেকে ওই বাড়িটিতে অভিযান শুরু করে এসটিএফ ও পুলিসের যৌথ বাহিনী। বাড়িটির বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে অস্ত্রগুলি ও সেগুলি তৈরির সরঞ্জাম ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে ছিল তা দেখে হতবাক হয়ে যান অভিযানকারী আধিকারিকরা। দীর্ঘ পাঁচ থেকে ছ’ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলে ওই বাড়িটিতে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যে দুই জন বেআইনি অস্ত্র নির্মাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের নাম মহম্মদ আজিম ও মহম্মদ ফারুখ আলম। তাদের দু’জনেরই বয়স ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। ধৃতরা বিহারের মুঙ্গের জেলার মুফাসিল থানা এলাকার মির্জাপুর বাগধার এলাকার বাসিন্দা। ওই বাড়ির মালিক হুমায়ুন শেখ ওই দুই জনকে বিহার থেকে বেআইনি অস্ত্র তৈরির জন্য ভাড়া করে নিয়ে এসেছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছেন পুলিস আধিকারিকরা। পলাতক হুমায়ুনই ওই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি চক্রের মূল পাণ্ডা বলেই অনুমান পুলিস কর্তাদের।
মালদহের এক শীর্ষ পুলিস কর্তা বলেন, হুমায়ুন শেখ ধরা পড়লে ওই বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানা সম্পর্কে আরও বিশদে জানতে পারা যাবে। তাকে গ্রেপ্তার করতে তাই জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে।