উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
মৌসম নুর তৃণমূলের মালদহ জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রথমবার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে জেলায় এলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর হাতে মৌসমের উদ্যোগে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে মালদহের আদি কংসবণিক সমাজের তৈরি কাঁসার পুষ্প পরাত। তাতে একদিকে যেমন ছিল জেলার রেশম শিল্পীদের হাতে তৈরি মটকার উত্তরীয় ও গরদ, তেমনই ছিল মালদহের বিখ্যাত ভ্যাটের খই, মাখনা, জেলায় উৎপাদিত ড্রাগন ফল এবং অবশ্যই রসকদম্ব।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসমের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া রসকদম্ব মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ভাগ করে খেতে বলেন জেলা তৃণমূল নেতানেত্রীদের। তাঁর ইচ্ছাতেই বিতরণ করে দেওয়া হয় অন্যান্য খাবারও। রসকদম্ব চেখে দেখেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, যখন থেকে মালদহে আসছি তখন থেকে অনেকবার এই রসকদম্ব খেয়েছি। বেশ ভালো মিষ্টি।
রসে ভেজা ছানার তৈরি ছোট সাদা মিষ্টি ক্ষীর দিয়ে ঢেকে সাবুদানার মতো মিষ্টি দানার আস্তরণ দিয়ে তৈরি এই রসকদম্বের জিআই ট্যাগ পাওয়া নিয়ে এর আগেই দাবি উঠেছিল। এবার জেলার মিষ্টি উৎপাদকরা মুখ্যমন্ত্রীর ‘মিষ্টি’ সমর্থন পেয়ে সেই দাবি আবার তুলতে পারেন বলেও মনে করছে স্থানীয় মিষ্টিপ্রেমীরা।
মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া কাঁসার পুষ্প পরাতে একটি নাতিদীর্ঘ প্রশস্তিও লিখে দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী। তিনি লিখেছেন, শ্রদ্ধেয়া, আজ ভারত মা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে মাননীয়া। আপনার দৃঢ়তা আমাদের পথ দেখিয়েছে সর্বদা। বিশ্বের দরবারে বাংলার মা মাটি মানুষকে চিনিয়েছেন আপনিই। আমাদের জেলায় আপনাকে উষ্ণতা দিলাম বুক ভরে। সুস্থ থাকুন, সবল থাকুন আর এই ভাবে মাতৃ স্নেহে আগলে রাখুন আমাদের। আপনারই মৌসম।
অন্যান্য উপহারগুলির মধ্যে মটকার উত্তরীয় ধরণের চাদরটিও বেশ পছন্দ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি সেটি হাতে নিয়েই একই ধরণের আরও একটি চাদর বিশ্ব বাংলা বিপণিতে প্রদর্শনের জন্য তুলে দিতে বলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার হাতে। পরে মুখ্যসচিবের জন্য একটি এবং বিশ্ব বাংলা বিপণিতে প্রদর্শনের জন্য আরেকটি একই ধরণের মটকার চাদর উপহার হিসাবে দেওয়া হয় জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
মৌসম নুর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উপহারগুলি গ্রহণ করেছেন, তাতেই আমরা খুশি। মুখ্যমন্ত্রী যে নিজে থেকেই বিশ্ব বাংলা বিপণির জন্য মটকার চাদর চেয়ে নিয়েছেন, তা থেকেই বোঝা যায়, সুযোগ পেলেই মালদহের নিজস্ব বিখ্যাত উৎপাদনগুলি বিশ্ব বাজারে তুলে ধরতে তিনি কতটা আন্তরিক।