উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পার্ক বেহাল থাকার কারণে এলাকার শিশুরা খেলাধুলো করতে পারছে না। পার্কের ভিতরে তাদের খেলার সামগ্রী বেহাল হয়ে পড়ে আছে। পার্কে মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা না থাকায় অভিভাবকরাও আর তাঁদের সন্তানদের সেখানে নিয়ে যেতে চাইছেন না।
এবিষয়ে এলাকার বাসিন্দারা বলেন, পুরসভার ওই সিংহবাহিনী পার্কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য সেখানে নানা ব্যবস্থা থাকলেও এখন আর সেগুলি কোনও কাজে লাগে না। খেলার সামগ্রী থেকে শুরু করে ফুলগাছ—সৌন্দর্যায়ন বলতে কিছুই নেই। ওখানে আধুনিক পরিকাঠামো যুক্ত পার্ক গড়ে উঠলে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য একটি নতুন জায়গা খুলে যাবে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেসের বশিষ্ঠ ত্রিবেদী বলেন, এলাকাবাসীদের পার্কটি সংস্কারের দাবি রয়েছে, সেটা আমরা জানি। বিষয়টি আমাদের পুরসভার চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। ওই পার্কটির সংস্কার করে সেখানে আধুনিক পরিকাঠামো যুক্ত কোনও পার্ক গড়ে তোলা যায় কি না, সে বিষয়টি আমরা বিবেচনার মধ্যে রেখেছি।
পুরাতন মালদহ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের চন্দনা হালদার বলেন, পুরসভার পার্কগুলো আধুনিক পরিকাঠামোয় ঢেলে সাজানো হবে। ইতিমধ্যেই এব্যাপারে আমাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গ্রীন সিটি প্রকল্পের অধীনে পার্কগুলি সাজিয়ে তোলার কাজ আমরা আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু করব। পার্কের সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি নতুন নতুন খেলার সামগ্রী নিয়ে আসা থেকে শুরু করে বিনোদনের সবরকম ব্যবস্থা করা হবে।
মঙ্গলবাড়ির বাসিন্দা এক গৃহবধূ তুলসী ঘোষ বলেন, শহরে শিশুদের জন্য খেলার পরিবেশযুক্ত পার্ক গড়ে ওঠেনি। আগে থেকেই যে পার্কগুলি রয়েছে তাতেই শিশুদের আমরা নিয়ে যাই। কিন্তু সেগুলো ভাঙাচোরা। শিশুরা যেতে চাইছে না। বাধ্য হয়ে কখনও ইংলিশবাজার শহরের পার্কে টিকিট কেটে সন্তানদের নিয়ে যাই। আমরা চাইছি, এলাকার পার্কটির সংস্কার করা হোক।
শীতের মরশুমে অনেকেই শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য তাদের পার্কে নিয়ে যান। কিন্তু পুরাতন মালদহ শহরের ওই সিংহবাহিনী পার্কটির দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি। পরিকাঠামোগত সমস্যাও রয়েছে। তাই এলাকাবাসীরা ওই পার্কটি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন।
পুরাতন মালদহ শহরে একাধিক ছোট পার্ক রয়েছে। কিন্তু সেই পার্কগুলির পরিকাঠামো নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যেই। এলাকার বাসিন্দারা জানান, পার্কে পুরনো মডেলের কিছু সামগ্রী রয়েছে। বেশিরভাগই ভেঙেচুরে গিয়েছে। পার্কের ভেতরে বাহারি ফুলের গাছ নেই। তাই সৌন্দর্যায়নের দিকটি ব্যাহত হচ্ছে। ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় ঝোপজঙ্গলে ভরে গিয়েছে। তাতে মশামাছির উপদ্রব বাড়ছে। মাঝেমধ্যেই এলাকার বাসিন্দারা শিশুদের পার্কে নিয়ে আসলে পরিকাঠামোগত সমস্যায় পড়েন। তাই তাঁরা বাধ্য হন প্রতিবেশী শহর ইংলিশবাজারে ছুটে যেতে।