উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
কৃষি দপ্তরের পরামর্শ মতো এবছর আবু শাহেদ ছয় বিঘা অর্থাৎ দুই একর জমিতে সুধা পদ্ধতিতে ধান চাষ করেছিলেন। সাধারণ পদ্ধতিতে চাষের তুলনায় এই অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করে তিনি ২০ শতাংশ বেশি ফলন পেয়েছেন। হেমতাবাদ ব্লক কৃষি দফতরের আধিকারিকরা আবু শাহেদের কৃষিক্ষেত্র পরিদর্শনে এসে তাঁর উৎপাদিত ধানের গুণমান পরীক্ষা করার পরেই তাঁর এই পরীক্ষামূলক ধান চাষে সাফল্যের কথা জানিয়েছে।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ‘সুধা’ অর্থাৎ সুনিশ্চিত ধান চাষ পদ্ধতিতে বীজতলা ফাঁক ফাঁক করে তৈরি করতে হবে। বীজতলা তৈরির আগে বীজগুলিকে লবণ জলে ধুয়ে ও জিঙ্ক সালফেটে ভিজিয়ে রেখে ব্যবহার করতে হবে। নজর রাখতে হবে প্রতি বর্গমিটারে ৭০০-র বেশি চারা যেন না থাকে। এই পদ্ধতিতে আমন ধান চাষ করলে ধানের ফলন ১৫-২০ শতাংশ বাড়ে। বৃষ্টিপাতের অনিশ্চয়তা যেভাবে বাড়ছে তাতে এই পদ্ধতিতে চাষ করলে চাষিরা ফলন নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিত হতে পারবেন। এছাড়াও এই পদ্ধতিতে বীজের পরিমাণ কম লাগে। তাছাড়া অনেকদিন পর্যন্ত বীজতলা রেখে দেওয়া যায়। প্রতিকূল পরিস্থিতি পরিস্থিতিতেও এই চাষ চালানো সম্ভব। সাধারণ পদ্ধতির তুলনায় অন্তত এক সপ্তাহ আগে এই ধান পরিপক্ক হয়ে ওঠে।
হেমতাবাদের ব্লক কৃষি আধিকারিক দিব্যেন্দু রায় বলেন, সুধা পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য স্থানীয় কচুয়া গ্রামের কৃষক আবু শাহেদকে সরকারিভাবে ধানের বীজ দেওয়া হয়েছিল। এই পদ্ধতিতে তিনি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। সাধারণ পদ্ধতিতে ধান চাষের থেকে এই পদ্ধতিতে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি ফলন হয়েছে তাঁর। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে অনেক বেশি হবে তা বলাই বাহুল্য।
অন্যদিকে, আবু শাহেদ বলেন, কৃষি দপ্তরের পরামর্শ ও নির্দেশ মেনে আমি দুই একর জমিতে সুধা পদ্ধতিতে ধান চাষ করেছিলাম। চাষের সময় লেগেছে প্রায় চার মাস। এখন পুরোপুরি পরিপক্ক হয়ে উঠেছে ধান। এখন তা কাটার কাজ চলছে। সাধারণ পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে যে খরচ হয়, অত্যাধুনিক এই পদ্ধতিতে চাষ করলে তার চাইতে অনেক কম খরচ হয়। পাশাপাশি ফলনও হয় অনেকটা বেশি। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে চাষিরা লাভবান হবে।