বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশান্ত মিত্র বলেন, আমরা কালদিঘি পার্ককে সংস্কার করেছি। সেটিকে এখন সাজানোর কাজ চলছে। মার্চ মাসের প্রথমদিকেই পার্কে বুলেট টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করব। এছাড়াও সেখানে পিকনিক জোন করা হচ্ছে। দিঘির জলে বোটিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। পর্যটকরা এসে ওই দিঘিতে বোর্টিং করতে পারবেন। এজন্য প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ করে দিঘির চারদিক ঘিরে ফেলে হয়েছে। জলে ওয়াটার বল রাখা হবে। বাহারি আলো সহ সৌন্দর্যায়নের করতে ২৫ লক্ষ টাকা প্রকল্প খরচ ধরা হয়েছে।
গঙ্গারামপুর পুরসভা বহু পুরনো কালদিঘি সম্প্রতি সংস্কার করে সেখানে বিনোদন পার্ক তৈরির কাজে হাত দেয়। প্রায় দু’কিমি ব্যাসার্ধজুড়ে রয়েছে ওই দিঘি। সেখানেই শিশুদের পাশাপাশি বড়দের মনোরঞ্জনের জন্য চালু করা হচ্ছে বুলেট ট্রেন। শীতের মরশুমে এবং অন্যান্য সময়েও যাতে কেউ এসে সেখানে চড়ুইভাতি করতে পারেন তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। সেজন্য দিঘির একাংশে পিকনিক জোন পুরসভা করে দিচ্ছে। পুরসভার দাবি, পার্কটি ঢেলে সাজানোর ফলে সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্নপ্রান্ত থেকে লোকেরা আসবেন। তাছাড়াও বাইরের জেলা থেকে পর্যটকরা গঙ্গারামপুরে এলে পার্কে একবার হলেও ঘুরে যাবেন। তবে পার্ক থেকে যাতে পুরসভার আয় হয় তার ব্যবস্থাও পুরসভা কর্তৃপক্ষ রেখেছে। টিকিট কেটেই পার্কে ঢুকতে হবে। তবে টিকিটের দাম এখনও স্থির হয়নি। শিশুদের খেলাধুলোর জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম পর্যায়ক্রমে আনা হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দিঘির চারধারে লাইনপাতার কাজ অনেকটাই শেষ হয়েছে। এরমধ্যেই বুলেট ট্রেনের ধাঁচে তৈরি চারটি বগি এসে পৌঁছবে। ট্রেনটি হায়দরাবাদ থেকে আনা হচ্ছে। এরজন্য ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। কালদিঘির চার কিমি এলাকাজুড়ে ওই টয়ট্রেন ঘুরবে। সেখানে দু’টি স্টেশন থাকবে। কালদিঘি যেহেতু ঐতিহাসিক বানগড় রাজার স্থান সেজন্য স্টেশনের নামকরণ করার ক্ষেত্রে পুরসভা কৃর্তপক্ষ সবদিক বিবেচনা করছে। পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, চার কামরার বুলেট টয় ট্রেনে বায়ো টয়লেট থাকবে। এছাড়াও মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট করা হবে। সেখানে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়া হবে। বুলেট টয় ট্রেনে যাত্রীরা রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে পারবেন।