বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপবাবু ও তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়াদেবী তাঁদের চার বছরের কন্যাকে নিয়ে গত শুক্রবার থানা মোড় সংলগ্ন ওই হোটেলে ওঠেন। সব ঠিকঠাকই ছিল। শনিবার ভোরে বসাক দম্পতির মেয়ের কান্নার আওয়াজ পান হোটেল কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে শিশুটি কেঁদে চলায় কর্মীরা ওই ঘরের দরজায় শব্দ করলেও ভিতর থেকে কারও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তখন হোটেল থেকে পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সুপ্রিয়াদেবী ঝুলছেন। তাঁর স্বামী বিছানায় পড়ে রয়েছেন। মেয়েটি বিছানায় প্রদীপবাবুর দেহের নীচে চাপা পড়ে গিয়ে কাঁদছিল। পুলিস এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সুপ্রিয়াদেবী গলায় ফাঁস দিলেও তাঁর স্বামী কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান। কোতোয়ালি থানার পুলিস শিশুটিকে হোটেল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে যায়। ফালাকাটাতে বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কী কারণে বসাক দম্পতি জলপাইগুড়িতে এসেছিলেন, কেনইবা তাঁরা তাদের শিশু সন্তানকে রেখে আত্মহত্যা করলেন তা পুলিস খতিয়ে দেখছে।
কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, একটি হোটেল থেকে এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বাবার মৃতদেহের নীচে অর্ধেক চাপা পড়েছিল তাঁদেরই কন্যা সন্তান। আমরা তাকে উদ্ধার করে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছি। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, আলু ব্যবসায়ী প্রদীপবাবুর পরিবারিক কোনও অশান্তি ছিল না। এবারে ব্যবসায় তাঁর ভালোই লাভ হয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গেও কোনও বিবাদ বা ঝগড়াঝাটিও ছিল না। গত এক সপ্তাহ ধরে তাঁরা বাইরে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন। এদিন ময়নাতদন্তের পর বিকালেই পরিবারের হাতে মৃতদেহ দু’টি তুলে দেওয়া হয়। প্রথমে শালবাড়িতে সুপ্রিয়াদেবীর বাড়ি হয়ে ফালাকাটা বকুলনগরে মৃতদেহ দু’টি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। প্রদীপবাবুর ভাই শ্যামল বসাক বলেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। ওঁদের পরিবারে কোনও অশান্তি ছিল না। সুপ্রিয়াদেবীর ভাই সুকান্ত রায়ও একই কথা বলেন।